চতুর্থীর সন্ধ্যাই বুঝিয়ে দিল পুজোর মহানগরে আসছে জনসুনামি
চতুর্থীর সন্ধ্যাতেই কল্লোলিত রাজপথ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সীমাহীন আনন্দে ভাসল সাত থেকে সত্তর। গলি থেকে রাজপথ, চতুর্থীর মন-ভাল-করা আলোয় ঝিকমিকিয়ে উঠল বাঙালির সেরা উত্সব।
ওয়েব ডেস্ক: চতুর্থীর সন্ধ্যাতেই কল্লোলিত রাজপথ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সীমাহীন আনন্দে ভাসল সাত থেকে সত্তর। গলি থেকে রাজপথ, চতুর্থীর মন-ভাল-করা আলোয় ঝিকমিকিয়ে উঠল বাঙালির সেরা উত্সব।
চতুর্থীতেই জনজোয়ার। অষ্টমী, নবমীতে সামাল দেবেন কী করে উদ্যোক্তারা? সে ভাবনা ভাবুক উদ্যোক্তারাই। ওদের সে ভাবনা ভাবার সময়ই নেই। যেন লাল-নীল-সবুজের মেলা বসেছে। মণ্ডপ মুখরিত করে তুললেন ওঁরা। আনন্দের সপ্তডিঙা যেন পার করে ফেলেছে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা। কলকাতা সত্যিই কল্লোলিনী।
চব্বিশ ঘণ্টা সমাজসেবী মহাপুজোর তালিকায়। চতুর্থী-সন্ধের ভিড়টা জমে উঠেছে বেশ। উপরি পাওনা উষা উত্থুপের গান। আর ডি বর্মণের পঁচাত্তরতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা পুজো উদ্যোক্তাদের। নানা বাদ্যযন্ত্রের মিশেলে মণ্ডপে অদ্ভুত সুরের মূর্ছনা। ভিড় বাড়তে বাড়তে উপচে পড়ল।
হাঁটি হাঁটি পা পা ভিড় পৌছে গেল আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের মণ্ডপে। উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মণ্ডপ থেকে ভিড় পৌছে গেল পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত। অষ্টমী, নবমীতে কীভাবে সামাল দেবেন ভিড়, উদ্যোক্তারা রীতিমতো শঙ্কিত।
ভিড় থইথই দক্ষিণের একডালিয়া, শিবমন্দির, বাবুবাগানের মণ্ডপও। মহাপুজোর তালিকায় ঢুকে পড়া একডালিয়ায় সোনা পাহারা দিতে কড়া নজরদারি। প্রতিমার শরীরে বারো কেজি সোনার গয়না। একটিবার দেখতে হামলে পড়ল আট থেকে আশি।
দক্ষিণ থেকে ভিড় তখন রওনা দিয়েছে উত্তরপানে। শ্রীভূমির প্রতিমা সেজেছে হিরের গয়নায়। মণ্ডপে উত্সুক মুখের সারি। সঙ্গে পাওনা শর্মিলা ঠাকুর, হরভজন সিং। দুই তারকা উদ্বোধন করলেন শ্রীভূমির পুজো।
রাত যত বাড়ল, ভিড় তত জমাট বাঁধল। মহানগরের চোখে ঘুম নেই।