শর্ট স্ট্রিটে গুলি কাণ্ডে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষিকা সহ আরও ৯ জন, পুলিসের অনুমান সম্পত্তি বিবাদের জেরে খুন

ভোররাতে শহরের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র কেঁপে উঠল গুলির আওয়াজে৷ ভোর সাড়ে চারটেয় এলোপাথারি গুলি চলল কলকাতার পুলিস কমিশনারের বাড়ির সামনে। শব্দে কেঁপে ওঠে ৯-এ শর্ট স্ট্রিটের একটি স্কুলবাড়ি। শর্ট স্ট্রিটের গুলি চালানোর ঘটনায় স্কুলে প্রাণ হারালেন দুই যুবক। স্কুল সংলগ্ন জমি নিয়েই বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

Updated By: Nov 11, 2013, 08:30 PM IST

ভোররাতে শহরের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র কেঁপে উঠল গুলির আওয়াজে৷ ভোর সাড়ে চারটেয় এলোপাথারি গুলি চলল কলকাতার পুলিস কমিশনারের বাড়ির সামনে। শব্দে কেঁপে ওঠে ৯-এ শর্ট স্ট্রিটের একটি স্কুলবাড়ি। শর্ট স্ট্রিটের গুলি চালানোর ঘটনায় স্কুলে প্রাণ হারালেন দুই যুবক। স্কুল সংলগ্ন জমি নিয়েই বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
তিন মহিলা সহ আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার করা হয় প্রধান শিক্ষিকাকে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, জমি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে তাঁকে দীর্ঘদিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি তিনি শেক্সপিয়র সরণি থানায় জানান। পুলিস কমিশনারকেও বিষয়টি তিনি জানিয়েছিলেন বলে মহিলার বক্তব্য। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। মহিলার অভিযোগ, আজ ভোররাতে ছাদ টোপকে স্কুলের ভিতরে চলে আসে প্রায় ৫০-৬০জন দুষ্কৃতী। পুলিস অবশ্য বলছে অন্য কথা। পুলিসের বক্তব্য, জমি নিয়ে বিবাদ আদালতে গড়ালে তা মিটেও যায়।
শর্ট স্ট্রিটের স্কুলে প্রাণ হারিয়েছেন দুই যুবক। সোনারপুরে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করতেন তাঁরা। ঘটনার পর থেকেই শোকে আচ্ছন্ন দুই যুবকের পরিবার। কীভাবে কী হয়ে গেল, ভেবে পাচ্ছেন না পরিজনরা। সকালে বাড়ি ফিরবেন। তাই রাতে যেন ফোন না করা হয়। একথা বলে রবিবার বিকেলে চারটে নাগাদ টিটাগড়ের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রসেনজিত্ দে। কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হল না। শর্ট স্ট্রিটের স্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। 
 
রোজগারের ভরসা বাবার ছোট্ট মুদির দোকান। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পড়ার খরচ জোগাতে বাউন্সারের কাজ বেছে নেন ২২ বছরের প্রসেনজিত। ছমাস আগে সোনারপুরে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজে যোগ দেন তিনি। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাতবিরেতে ডিউটি করতেন। তার ফাঁকে ফাঁকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেলঘরিয়ার ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজে। টিটাগড়ের রায়বাগানে প্রসেনজিতের বাড়িতে এখন শুধুই কান্না।
একই অবস্থা নদিয়ার গয়েশপুরে পিকলু আচার্যের বাড়িতেও।
আট নম্বর ওয়ার্ডে কিশোরবাহিনী স্কুলের কাছে পিকলু আচার্যর বাড়ি। বাবা কল্যাণীতে একটি কারখানায় কাজ করেন। এক সপ্তাহ আগে সোনারপুরের বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজে যোগ দেন পিকলু। সোমবার ভোররাতে স্কুলে গুলিচালনায় মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে হতভম্ব তাঁর প্রতিবেশীরা।
 
ক্যামেরায় বরুণ সেনগুপ্ত, শিবু পাল ও পলাশ সরকারের সঙ্গে অনন্ত চট্টোপাধ্যায় ও বিশ্বজিত্ মিত্রের রিপোর্ট। চব্বিশ ঘণ্টা। 

সোনারপুরে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করতেন তাঁরা। ঘটনার পর থেকেই শোকে আচ্ছন্ন দুই যুবকের পরিবার। কীভাবে কী হয়ে গেল, ভেবে পাচ্ছেন না পরিজনরা। সকালে বাড়ি ফিরবেন। তাই রাতে যেন ফোন না করা হয়। একথা বলে রবিবার বিকেলে চারটে নাগাদ টিটাগড়ের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রসেনজিত্ দে। কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হল না। শর্ট স্ট্রিটের স্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। 
 
 রোজগারের ভরসা বাবার ছোট্ট মুদির দোকান। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পড়ার খরচ জোগাতে বাউন্সারের কাজ বেছে নেন বাইশ বছরের প্রসেনজিত। ছমাস আগে সোনারপুরে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজে যোগ দেন তিনি। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাতবিরেতে ডিউটি করতেন। তার ফাঁকে ফাঁকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেলঘরিয়ার ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজে। টিটাগড়ের রায়বাগানে প্রসেনজিতের বাড়িতে এখন শুধুই কান্না। একই অবস্থা নদিয়ার গয়েশপুরে পিকলু আচার্যের বাড়িতেও।
 
আট নম্বর ওয়ার্ডে কিশোরবাহিনী স্কুলের কাছে পিকলু আচার্যর বাড়ি। বাবা কল্যাণীতে একটি কারখানায় কাজ করেন। এক সপ্তাহ আগে সোনারপুরের বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজে যোগ দেন পিকলু। সোমবার ভোররাতে স্কুলে গুলিচালনায় মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে হতভম্ব তাঁর প্রতিবেশীরা।
 

.