ক্যান্সার চিকিৎসায় পায়ের হাড়ের বিরল পুনঃপ্রতিস্থাপন! নজির গড়ল SSKM
পায়ের হাড় গ্রিন করিডর করে নিয়ে এসে রেডিয়েশন দেওয়ার পর সেই হাড় রোগীর শরীর ফের অস্ত্রোপচার করে বসিয়েও দেওয়া হল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মরণোত্তর অঙ্গ কিংবা দেহ নিয়ে গ্রিন করিডরে করে নিয়ে যাওয়া এখন এ শহরে প্রায়শই দেখা গেলেও পায়ের হাড় গ্রিন করিডরে করে নিয়ে আসার ঘটনা এই প্রথম৷ ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও নজির তৈরি করেছে এসএসকেম হাসপাতাল৷ এবার শহরে পায়ের হাড় গ্রিন করিডর করে নিয়ে এসে রেডিয়েশন দেওয়ার পর সেই হাড় রোগীর শরীর ফের অস্ত্রোপচার করে বসিয়েও দেওয়া হল।
বাংলায় প্রথমবারের জন্য এই নজির গড়ল এসএসকেএম হাসপাতাল। অস্থি ক্যান্সারে আক্রান্ত মালদার হরিশচন্দ্রপুরের বাসিন্দা বছর ষোলোর নাসিরউদ্দিনের জন্য এই চিকিৎসা করা হয়েছে। ক্যান্সার মুক্ত করতে গেলে পায়ের যে হাড়ে (ফিমার বোন) ক্যান্সার রয়েছে সেখানে রেডিয়েশন দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসকরা। তাই ঊরুর ওই হাড় (ফিমার বোন) অস্ত্রোপচার করে এদিন কেটে নেন এসএসকেএমের অস্থিরোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মুকুল ভট্টাচার্য ও অর্থো-অঙ্কোলজিস্ট কৌশিক নন্দী।
এদিকে এসএসকেএম হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগ এখন শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারও হয় সেখানেই। এদিকে রেডিওলজি বিভাগ এসএসকেএম চত্বরে। তাই নাসিরউদ্দিনের কেটে নেওয়া ওই হাড়ের টুকরোকে পুলিসের সহযোগীতায় এদিন দুপুরে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয় পিজি চত্বরে। সেখানে ফিমার বোনটিকে রেডিয়েশন দিয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলিকে মেরে ফেলা হয়। ফের গ্রিন করিডোর করেই ফেরত নিয়ে যাওয়া হয় শম্ভুনাথ পন্ডিতে। সেখানেই ফের নাসিউদ্দিনের পায়ে পুনঃপ্রতিস্থাপিত করা হয়।
ডাক্তারি পরিভাষায় এই অস্ত্রোপচারের নাম এক্সট্রা-কর্পোরিয়াল রেডিয়েশন থেরাপি অ্যান্ড বোন রি-ইমপ্লান্টেশন। অর্থাৎ কাটা হাড়ে রেডিয়েশন দিয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলিকে মেরে ফেলে ফের সেই হাড় রোগীর শরীরেই প্রতিস্থাপন করা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রোগী স্বার্থেই এমন অস্ত্রোপচার এবং গ্রিন করিডোরের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, SSC: শিক্ষক নিয়োগে 'বেনিয়ম'; পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই ব্যাখা দিতে পারবেন: Kunal