সাইকো কাণ্ড: চিরকুট রহস্য! একই বাড়িতে থেকেও বাবা মেয়ে কথা বলতেন চিরকুটে

সাইকো কাণ্ডে চমকে দেওয়ার মতো সূত্র পেল পুলিস। দে পরিবারে উদ্ধার হাজারো চিরকুট খুঁটিয়ে পড়ে পুলিসের সন্দেহ, দেবযানীর মৃত্যু যদি সত্যি হয় তা প্রথমে জানতেনই না বাবা অরবিন্দ দে। প্রায় দেড় থেকে দু মাস চিরকুটের মাধ্যমে দেবযানীর সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। অরবিন্দকে মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে নাকি বাধা দিতেন পার্থ। বলতেন দিদি ধ্যান করছে, দিদির হয়ে বাবাকে চিরকুটও দিতেন পার্থ। 

Updated By: Jun 14, 2015, 09:48 PM IST
সাইকো কাণ্ড: চিরকুট রহস্য! একই বাড়িতে থেকেও বাবা মেয়ে কথা বলতেন চিরকুটে

ওয়েব ডেস্ক: সাইকো কাণ্ডে চমকে দেওয়ার মতো সূত্র পেল পুলিস। দে পরিবারে উদ্ধার হাজারো চিরকুট খুঁটিয়ে পড়ে পুলিসের সন্দেহ, দেবযানীর মৃত্যু যদি সত্যি হয় তা প্রথমে জানতেনই না বাবা অরবিন্দ দে। প্রায় দেড় থেকে দু মাস চিরকুটের মাধ্যমে দেবযানীর সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। অরবিন্দকে মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে নাকি বাধা দিতেন পার্থ। বলতেন দিদি ধ্যান করছে, দিদির হয়ে বাবাকে চিরকুটও দিতেন পার্থ। 

রাশি রাশি চিরকুট, ডায়েরি, ধর্মপুস্তক। বেশ কয়েকটি কম্পিউটার। দে পরিবার থেকে উদ্ধার তথ্যপ্রমাণ গোড়া থেকেই ধন্ধে রেখেছিল তদন্তকারীদের। এবার চিরকুটগুলি খতিয়ে দেখেই শিউড়ে উঠছেন তদন্তকারীরা। পুলিসের সন্দেহ, দেবযানী ও পার্থর সঙ্গে সরাসরি কথাবার্তা ছিল না অরবিন্দ দে'র। বাবার সঙ্গে ছেলে মেয়ের কথা হত চিরকুটের মাধ্যমে। পুলিসের সন্দেহ, দেবযানী মৃত্যুর খবর সত্যি হয় তা দীর্ঘদিন পরেও নাকি জানতে পারেননি অরবিন্দ দে। তখন পার্থই নাকি, হাতের লেখা নকল করে বাবাকে দেবযানীর হয়ে চিরকুট দিয়ে গেছেন। তবে এই অনুমানের সঙ্গেই উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্নও।

একই বাড়িতে বাস। তবু কেন দেবযানীর মৃত্যুর খবর জানতে পারলেন না অরবিন্দ দে? দেবযানীর দেহের গন্ধ কী করে গোপন করলেন পার্থ দে? পার্থ হাতের লেখা নকল করলে অরবিন্দ কেন তা ধরতে পারলেন না? ঘরের কোথাও কি হলো স্পেস রয়েছে? সেখানেই কি প্রথমে দেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল?
অরবিন্দ-র ভাই অরুণ দে-কে জিজ্ঞাসাবাদেও মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পুলিসকে তিনি জানিয়েছেন, একবছরে অরবিন্দ দে ও অরুণ দে-র মধ্যে বহুবার কথা হয়েছে। সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া নিয়েই নাকি দুজনের আলোচনা হত। অরুণ দের দাবি, পার্থ'র অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে তাঁর কাছে দুঃখও করেছেন অরবিন্দ দে। আমেরিকায় থাকাকালীনই নাকি অবসাদের ওষুধ খেতে হত পার্থকে।  

তবে পুলিসের সন্দেহ, অরুণ দে ও তাঁর ছেলে অর্জুন এখনও বেশ কিছু তথ্য লুকিয়ে যাচ্ছেন। যেমন, অরবিন্দ দে, সত্যিই আত্মহত্যা করেছেন কিনা তা নিয়ে এখন সন্দেহ করতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। কারণ, অরবিন্দ দে'র অগ্নিদগ্ধ হওয়ার সময় বাড়িতে শাবল ও স্ক্রু ড্রাইভার মিলেছিল। দে পরিবারে সাধারণত ওই জাতীয় জিনিস থাকার কথা নয়। নিশ্চিত হতে সেদিন আগুন নেভাতে যাওয়া দমকল অফিসারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিস। 

.