প্রমোটার আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের মুখে পুর ইঞ্জিনিয়াররা

বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে প্রোমোটার-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়তে হল পুর ইঞ্জিনিয়ারদের। হামলা চালানো হল বরো অফিসেও। এ ঘটনা ঘটেছে কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত পুর ইঞ্জিনিয়াররা। এক মাস আগেই মহাকরণে বৈঠক ডেকে পুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও পুর আধিকারিকদের ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার। শাসকদলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।  

Updated By: May 15, 2013, 08:06 PM IST

বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে প্রোমোটার-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়তে হল পুর ইঞ্জিনিয়ারদের। হামলা চালানো হল বরো অফিসেও। এ ঘটনা ঘটেছে কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত পুর ইঞ্জিনিয়াররা। এক মাস আগেই মহাকরণে বৈঠক ডেকে পুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও পুর আধিকারিকদের ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার। শাসকদলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।  
কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর ১০০ ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডের ৯৫/১ নাকতলা মেন রোডে এ দিন একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যান পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারসহ কয়েকজন পুর আধিকারিক। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় প্রোমোটার দেবাশিষ সরকারের আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী বাধা দেয় পুর আধিকারিকদের।  শেষ পর্যন্ত পুলিসি সহায়তায়  বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শেষ হয়। পরে পুর ইঞ্জিনিয়র আশিস গুহ বরো অফিসে ফিরে গেলে ওই প্রোমোটারের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অফিসের ভিতর ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
 
ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন পুরসভার ১০টি বরোর একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়াররা মেয়রের কাছে ডেপুটেশন দেন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শাসক দলের মদতে ওই এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১২টি বেআইনি ফ্ল্যাটবাড়ি নির্মাণ করেছেন প্রোমোটার দেবাশিস সরকার। খোদ শিল্পমন্ত্রীর এলাকায় এভাবে অবাধে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠছে। এর ওপর হামলার মুখে পড়তে হল পুর ইঞ্জিনিরাদের। এঘটনার জেরে প্রশাসন এবং শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।  

.