Kolkata Indian Museum Shooting: ফাঁসানোর ছক কষছিল সহকর্মীরা! আত্মহত্যাও করতে চান জাদুঘরে তাণ্ডব চালানো জওয়ান?

Kolkata Indian Museum Shooting: সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন অক্ষয় মিশ্রর টার্গেটে ছিলেন একজন এসি, একজন ইনস্পেক্টর এবং এক জওয়ানওও। তাঁরাই নাকি মূলত উত্যক্ত করতেন। শনিবার সন্ধে বেলা রোল কলের সময় কিছু ঘটেছিল কিনা, ধৃতকে জেরা করে এখন সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্রকে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতে পাঠিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। 

Updated By: Aug 7, 2022, 09:42 PM IST
Kolkata Indian Museum Shooting: ফাঁসানোর ছক কষছিল সহকর্মীরা! আত্মহত্যাও করতে চান জাদুঘরে তাণ্ডব চালানো জওয়ান?

পিয়ালি মিত্র: কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে (Indian Museum) গুলি কাণ্ডে ধৃতকে জেরা। সেই জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, জেরায় অভিযুক্ত সিআইএসএফ (CISF) জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্র দাবি করেছে, গত জুন মাস থেকে তাকে ইউনিটের অস্ত্রগারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যা নিয়ে নাকি সে বেজায় অখুশি ছিল। কারণ তার ধারণা হয়ছিল যে, ঝঞ্ঝাট এবং কঠিন দায়িত্ব তার কাঁধে দেওয়া হয়েছিল। তাকে ফাঁসানোর জন্যই ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। জেরায় তিনি নাকি এও দাবি করেছেন, একবার তাঁর ঘুমোনোর ছবি তুলেছিল সহকর্মীরা। এর থেকে অভিযুক্তের ধারণা হয় যে, তাঁর বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র চলছে। তাঁকে ফাঁসানোর প্ল্যান করা হচ্ছে। সেজন্য নাকি কিছুদিন আগে  স্ত্রীকে ফোন করে, আত্মহত্যা করবেন বলে জানিয়েছিলেন সিআইএসএফ জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্র। এমনটাই সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, ধৃত জওয়ানকে লালবাজারে জেরা করেছেন  স্বয়ং কলকাতা পুলিসের কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা, ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার এবং হোমিসাইড শাখার অফিসাররা। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন অক্ষয় মিশ্রর টার্গেটে ছিলেন একজন এসি, একজন ইনস্পেক্টর এবং এক জওয়ানওও। তাঁরাই নাকি মূলত উত্যক্ত করতেন। শনিবার সন্ধে বেলা রোল কলের সময় কিছু ঘটেছিল কিনা, ধৃতকে জেরা করে এখন সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্রকে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতে পাঠিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। 

আরও পড়ুন: Kolkata Indian Museum Shooting: এএসআই রঞ্জিত সারেঙ্গির শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় ৩টি বুলেট

কলকাতা জাদুঘরে নিয়মিত বিকালে সিআইএসএস জওয়ানদের রোল কল হয়। এরপর সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ ব্যারাক সংলগ্ন সিআইএসএফ কিয়স্কে ডিউটিতে থাকা হেড কনস্টেবলর রাইফেল ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত হেড কনস্টেবল। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষ, এক ইনস্পেক্টর এবং ASI রঞ্জিত সারেঙ্গি। সেখানেই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় অভিযুক্ত জওয়ান। রঞ্জিতের গায়ে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে সুবীরকে খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে অভিযুক্ত। গুলি লাগে সুবীরের ঘোষের হাতে। 

হাসপাতল সূত্রে খবর, সুবীর ঘোষ স্থিতিশীলই আছেন। আজকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। ডাক্তাররা রাউন্ড দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে সে বিষয়ে। রন্জিত সারেঙ্গির ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখনও হাসপাতালে এসে পৌঁছয়নি। সেটা আসলে ময়নাতদন্ত শুরু হবেআনুমানিক ১২.৩০টা নাগাদ।  সহকর্মীদের হেনস্থার শিকার হয়েই এই পদক্ষেপ বলে বিস্ফোরক দাবি অভিযুক্তের। দু-আড়াই মাস ধরে 'পরেসান' করছিল ডিপার্টমেন্টের লোক। জাদুঘরে গুলি চালানোর ঘটনায় এমনই উত্তর দিলেন অভিযুক্ত জওয়ান এ কে মিশ্র। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুবীর ঘোষের অবস্থা বর্তমানে অনেকটাই স্থিতিশীল। রবিবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.