Cattle Smuggling Case: 'কলকাতা আদালত কি পোস্ট অফিস!' সায়গল হোসেন মামলায় কটাক্ষ কোর্টের
তাঁর বিরুদ্ধে গরু পাচার কাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এখন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেই নয়াদিল্লি নিয়ে যেতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আসানসোল আদালতের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি।
অর্নবাংশু নিয়োগী: অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে এবার আদালতের প্রশ্নের মুখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন খারিজ করে আসানসোল আদালত । তারপরই হাইকোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়ে ইডি। কটাক্ষ করে কোর্ট বলে, 'কলকাতা আদালত কি পোস্ট অফিস! এখানে কলকাতা কোর্ট কি করবে?'
আরও পড়ুন, AIIMS Recruitment Scam: কল্যাণী AIIMS দুর্নীতি মামলা, নীলাদ্রি শেখর দানাকে তলব সিআইডি-র
আদালতের বক্তব্য, আবেদন খারিজ হওয়ার পর ফের কি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে? দুপুর ২ টোর মধ্যে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে ইডিকে। সিবিআইয়ের কি সায়গেল হুসেন কে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন আছে? একই সঙ্গে সিবিআইয়ের কাছেও লিখিত উত্তর চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, ৯ জুন সিবিআই সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল। গতকাল ইডিকে দীর্ঘ সময় জেরা করার পর সন্তুষ্ট না-হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সিবিআই বিশেষ আদালত বন্ধ থাকায় আসানসোল জেলা আদালতে সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন করে ইডি।
ইডি সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন এই দেহরক্ষীর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে ৷ এমনকী তাঁর বাড়ির পরিচারক এবং পরিচারিকার নামেও সম্পত্তি কেনা রয়েছে ৷ আর সেই সম্পত্তির পরিমাণ নিছক কম নয় ৷ কীভাবে এতো বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি হল? কনস্টেবল হয়েও কীভাবে ১০০ কোটির বেশি টাকার মালিক হলেন সায়গল? এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? এসব তথ্য জানতেই সায়গলকে জেরা করতে চায় ইডি।
জেরার সময় ইডির আধিকারিকদের তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা করেননি সায়গল হোসেন। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয় দুপুর ১ টা ১০ মিনিট নাগাদ। এরপর দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে আসানসোলের বিশেষ ভেকেশনাল আদালতে যায় ইডি। কিন্তু দেরি হওয়ার কারণে সেই আবেদন শোনেন না বিচারক।