Ration: মৃতের কার্ডে রেশন তুলে বাজারে বিক্রি! হাইকোর্টের কড়া ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য
২০২০ সালে রাজ্যজুড়ে রেশন নিয়ে দুর্নীতি নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৭১ জন রেশন ডিলারকে শোকজ করে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ১৯ জনকে।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: রেশন দুর্নীতি নিয়ে আজ হাইকোর্টের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য। প্রধান বিচারপতির কড়া মন্তব্য, 'এটা সামাজিক অপরাধ। মৃতের কার্ডে রেশন তুলে কী করে বাজারে বিক্রি করে! সেটা ৭৩ বা ৩১টা কার্ড, যাই হোক না কেন।'
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, 'আদালতে হাজিরা দেওয়ার পরেও জেলাশাসক ক্যাজুয়াল মনোভাব দেখাচ্ছেন। দোষ পাওয়া গেল আর সাসপেন্ড করা হল! সেটা কোনও শাস্তি নয়। কেনও আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি? প্রসঙ্গত, রেশন ডিলার মৃত ৭৩ জনের কার্ডে মাল তুলে খোলা বাজারে বিক্রি করছেন। এই অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এই অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও কড়া পদক্ষেপ না করায় জেলাশাসককে হাজিরা দিতে হয় ২০২০ সালে। কিন্তু মাত্র ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
অভিযুক্ত রেশন ডিলারের নাম আমিরুল ইসলাম মন্ডল। নদীয়ার শান্তিপুরের গয়েশ পুরের আমরাতলার রেশন ডিলার অভিযুক্ত। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে রাজ্যজুড়ে রেশন নিয়ে দুর্নীতি নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৭১ জন রেশন ডিলারকে শোকজ করে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ১৯ জনকে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ফুড কমিশনারকেও তলব করেন মুখ্যসচিব।
তবে রেশনে দুর্নীতির ঘটনাতেও কেন্দ্রের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে রাজ্য। রাজ্যের দাবি, তিন মাসের জন্য (এপ্রিল,মে,জুন) ৯ লাখ মেট্রিক টন এর জায়গায় এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল পেয়েছে রাজ্য। এদিকে ডাল প্রয়োজন প্রতি মাসে সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে এখনও পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৪ হাজার মেট্রিক টন।
রাজ্যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার আওতাধীন বেনিফিশিয়ারির সংখ্যা ৬ কোটি ১ লক্ষ। কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে মোট ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু পরিমাণ মত চাল ডাল না পাওয়ায় রেশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেছে রাজ্য। পাশাপাশি কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্য খাদ্য দফতরের।