এবার থেকে দুষ্প্রাপ্য সংবাদপত্র পড়ার নেশা মেটাতে যেতে হবে ন্যাশানাল লাইব্রেরির আলিপুর ক্যাম্পাসে

পাঁচ নম্বর এসপ্ল্যানেড ইস্ট। ঐতিহ্যশালী এই ভবন থেকে পুরনো সংবাদপত্রের বিপুল সম্ভার সরিয়ে ফেলা হবে। সংবাদপত্র পড়তে গেলে এবার যেতে হবে ন্যাশনাল লাইব্রেরির আলিপুর ক্যাম্পাসে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আশঙ্কায় রয়েছেন পাঠক, পাঠিকা, গবেষকরা। আদৌ এই বিপুল পরিমাণ পুরনো সংবাদপত্রের সঠিক সংরক্ষণ সম্ভব কিনা ত

Updated By: Nov 12, 2013, 04:06 PM IST

পাঁচ নম্বর এসপ্ল্যানেড ইস্ট। ঐতিহ্যশালী এই ভবন থেকে পুরনো সংবাদপত্রের বিপুল সম্ভার সরিয়ে ফেলা হবে। সংবাদপত্র পড়তে গেলে এবার যেতে হবে ন্যাশনাল লাইব্রেরির আলিপুর ক্যাম্পাসে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আশঙ্কায় রয়েছেন পাঠক, পাঠিকা, গবেষকরা। আদৌ এই বিপুল পরিমাণ পুরনো সংবাদপত্রের সঠিক সংরক্ষণ সম্ভব কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।  
ঊনিশ এবং বিংশ শতাব্দীর সমস্ত দুষ্প্রাপ্য  সংবাদপত্রের ঠিকানা ন্যাশনাল লাইব্রেরি। গবেষণা বা জানার আগ্রহে ওইসব সংবাদপত্র পড়তে এতদিন পাঠক পাঠিকা বা গবেষকদের যেতে হত পাঁচ নম্বর এসপ্ল্যানেড ইস্টে। হঠাত্‍ই ন্যাশনাল লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ  সিদ্ধান্ত নেয়, এসপ্ল্যানেডের ওই ভবনে তৈরি হবে একটি সিটি হাব। তাই  পুরনো সংবাদপত্রের এই বিপুল সম্ভার নিয়ে যাওয়া হবে আলিপুরে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাইক্রোফিল্ম করে পুরনো সংবাদপত্রগুলির মূলকপি সংরক্ষিত হবে। চলতি মাসের নয় তারিখে নোটিস দিয়ে পাঠক পাঠিকাদের জানানো হয় ঠিকানা বদলের জন্য আপাতত তাঁরা যেন না আসেন এসপ্ল্যানেডের ভবনে। কিন্তু সংরক্ষণের এই প্রশ্নেই আশঙ্কায় রয়েছেন পাঠক পাঠিকারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বছর দশেক আগে সংরক্ষণের যুক্তি দেখিয়েই পাঁচ হাজার ভলিউম সংবাদপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আলিপুরে। তার মধ্যে মাত্র ৪০টি কপির মাইক্রোফিল্ম তৈরি হয়েছে বাকি কপির  মাইক্রোফিল্ম বা ডিজিটাইজেশন দূরঅস্ত, মূল কপিও ফেরত আসেনি এসপ্ল্যানেড ভবনে।
শুধু তাই নয় দীর্ঘদিন ধরে এসপ্ল্যানেডের এই ভবনেই সংবাদপত্রগুলি অত্যন্ত অযত্নে রাখা রয়েছে বলেও অভিযোগ। পুরনো ছিঁড়ে যাওয়া সংবাদপত্রগুলিকে আলিপুরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও  কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ পাঠক পাঠিকাদের।  দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ছিঁড়ে গেছে এমন কাগজগুলিকে তোলার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যেভাবে ছেঁড়া পাতাগুলিকে নিয়ে যাওয়া উচিত তা না করে ঝাঁট দিয়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
  
ষাটের দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল সারা দেশের সংবাদপত্রের প্রথম দশ বছরের কপি সংরক্ষণ করা হবে আলিপুরে। বাঁধাই  হওয়ার পর তা ফিরে যাবে এসপ্ল্যানেড ভবনে। কিন্তু পরবর্তী সময় দেখা যায়, ১৮৮ সালের পর  আর  কোনও সংবাদপত্র বাঁধাই হয়ে আসেনি এসপ্ল্যানেডে। এমনকী হারিয়ে যাওয়া কপিগুলি  কোন সালের তারও কোনও তথ্য নেই ন্যাশনাল লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের কাছে। নতুন সংরক্ষণের ঘটনায় পাঠক পাঠিকা এবং গবেষকদের কপালে রীতিমত চিন্তার ভাঁজ। আদৌ এইসব সংবাদপত্র পাঠযোগ্য করে তোলা সম্ভব কিনা তা নিয়েও সন্দিহান পাঠকরা।

.