ভুয়ো সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে রুদ্রনীল! ছবি প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তি পদ্ম শিবিরে
ভুয়ো আধিকারিকের সঙ্গেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুয়ো টিকা, জাল নথি, মিথ্যে পরিচয়পত্রের নানাবিধ কাজকর্ম প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক। সাম্প্রতিক সময়ে দেবাঞ্জনকান্ডের রেশ মিটতে না মিটতেই এবার কলকাতা থেকেই গ্রেফতার এক ভুয়ো সরকারি আধিকারিক। আর এই ভুয়ো আধিকারিকের সঙ্গেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের।
পুলিস সূত্রে খবর, বরানগরের বাসিন্দা সনাতন রায়চৌধুরী কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেই নিজের পরিচয় দিতেন। নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়েই চলাফেরা করতেন। এছাড়াও গাড়িতে সাঁটআনো ছিল সিবিআইয়ের স্টিকার। জানা যায় এই ব্যক্তি রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল ও সিবিআইয়ের কৌঁসুলি পরিচয়ে গড়িয়াহাট এলাকায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করেন।
প্রতারিতদের তরফেই ৩০ জুন মামলা দায়ের হয় পুলিসে। তদন্তে নেমেই চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী অফিসারদের। সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রতারণার আরেকটি মামলাও রয়েছে তালতলা থানায়, এমনটাই জানতে পারে পুলিস। সনাতন রায়চৌধুরী ওই এলাকাতেও প্রতারণা করেন বহুজনের সঙ্গে, তদন্তে উঠে আসে সেই তথ্য।
আরও পড়ুন, বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির; এমন দলদাস স্পিকার দেখিনি: Suvendu
গতকাল সিঁথি এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে গড়িয়াহাট থানার পুলিস। তাদের অনুমান প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই ক্ষমতা জাহির করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতেন ওই ব্যক্তি। এদিকে এই ঘটনার পরই ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে রুদ্রনীলের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য শুরু হয়৷
যদিও রুদ্রনীলের দাবি অনেকেই তার কাছে আসে। কে ভুয়ো কে সত্যি তা দেখে বোঝার উপায় থাকে না। এই ব্যক্তিকে আইনজীবী হিসেবেই চিনতেন রুদ্র, এমনটাই জানিয়েছেন নেতা-অভিনেতা। তিনি বলেন, "এই ছবিটা চার পাঁচ বছর আগের। তৃণমূল এখন যদি বলে যে এটা বিজেপি ঘনিষ্ঠ তাহলে বরং ভুল। সেই সময় আমি তৃণমূল ঘনিষ্ট ছিলাম। আমার সঙ্গে এই ব্যক্তি অনুরাগী হিসেবে দেখা করেন, ফুল দেন এবং ছবি তোলেন। উনি নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন আইনজীবী। সিবিআই, হাইকোর্টের কোথাকার আইনজীবী তা জানার আগ্রহ ছিল না কারণ অনেকেই আমাদের সঙ্গে ছবি তোলে তাই। কিন্তু যারা এরকম ভুয়ো কাজ করছেন তাদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমার সঙ্গে যদি মনে হয় কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে বা ফোনে কথা হয়েছে এই ব্যক্তির তা খতিয়ে দেখার কথাও বলে দিলাম।"