উৎসবে মেতে মানবিকতা হারাল মহানগর
উত্সবের রেশনাইয়ে ঢাকা পড়ে গেল শহরের মানবিক মুখ। ষাঁড়ের গুঁতোয় আহত বৃদ্ধ তিনদিন ধরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রইলেন রাস্তায়। তাকিয়ে দেখার সময় পেলেন না কেউই। এগিয়ে এল না পুলিসও। স্থানীয় এক অটো চালক ও ২৪ ঘণ্টার তত্পরতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল বৃদ্ধকে। পুজোর সময় এমনই চরম অমানবিকতার সাক্ষী রইল দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোনী।
উত্সবের রেশনাইয়ে ঢাকা পড়ে গেল শহরের মানবিক মুখ। ষাঁড়ের গুঁতোয় আহত বৃদ্ধ তিনদিন ধরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রইলেন রাস্তায়। তাকিয়ে দেখার সময় পেলেন না কেউই। এগিয়ে এল না পুলিসও। স্থানীয় এক অটো চালক ও ২৪ ঘণ্টার তত্পরতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল বৃদ্ধকে। পুজোর সময় এমনই চরম অমানবিকতার সাক্ষী রইল দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোনী।
পুজোর সময় কাজের খোঁজে কলকাতায় এসেছিলেন জোমজুড়ের অশোক মুখার্জি। বাঁশদ্রোনীর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন পুজোর সময়। কাজ জোটেনি। খিদের জ্বালায় হাজির হয়েছিলেন মিষ্টির দোকানে। আচমকাই পিছন থেকে জোরে ধাক্কা।
তারপর কেটে গেছে তিনদিন। পুজোর আনন্দে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বৃদ্ধের দিকে ফিরেও তাকায়নি কেউ। পাশ কাটিয়ে গেছেন সকলে। দায় এড়াতে পারেননি অটোচালক সঞ্জয় ঘোষ। এলাকার মানুষকে অনুরোধ করেছেন সাহায্য করার। এগিয়ে আসেননি কেউ। নিরুপায় হয়ে খবর দিয়েছেন বাঁশদ্রোণী থানায়। কিন্তু, লাভ হয়নি। হাজারো অনুনয়ের পরও আসেনি পুলিস।
হাল না ছেড়ে, ২৪ ঘণ্টাকে জানান সঞ্জয়বাবু। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শেষপর্যন্ত রিজেন্ট পার্ক থানার তত্ত্বাবধানে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই বৃদ্ধকে।