নিয়ম ভেঙে জলা ভরাট বাইপাসে, বাড়ছে বাসিন্দাদের ক্ষোভ
ফি বর্ষায় ভোগান্তির আশঙ্কা জিইয়ে রেখেই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের ধারে জলাভূমি বুজিয়ে ফেলছে কেএমডিএ। এর অবধারিত ফল হিসেবে আগামি দিনে ভাসতে চলেছে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
ফি বর্ষায় ভোগান্তির আশঙ্কা জিইয়ে রেখেই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের ধারে জলাভূমি বুজিয়ে ফেলছে কেএমডিএ। এর অবধারিত ফল হিসেবে আগামি দিনে ভাসতে চলেছে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ইএম বাইপাসের বাস র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম তৈরির কাজে এলাকার যাবতীয় নিকাশি জলাশয় বুজিয়ে ফেলায় ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, বিকল্প নিকাশি ব্যবস্থা না করেই, কেন এ কাজ চলছে।
বাস র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম-এর কাজের জন্য চলতি বছরের মে মাস থেকে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে সায়েন্স সিটি থেকে ডিসান মোড় পর্যন্ত বাইপাসের দু পাশ। চিংড়িঘাটা থেকে কামালগাজি মোড় পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট এড়িয়ে যাতে যাত্রী পরিবহণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য ২০১০ সালে প্রকল্প হাতে নেয় কেএমডিএ। মোট দুশো উনত্রিশ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে। কেন্দ্রের তরফে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিন্যুয়াল মিশন (জেএনএনইউআরএম) এবং রাজ্যের তরফে কেএমডিএ এই কাজের বরাত দিয়েছে আইভিসিআরএল নামের সংস্থাকে। কোনও রকম সমীক্ষা ও পরিকল্পনা ছাড়াই এই সংস্থা বাইপাস লাগোয়া নিকাশি খালগুলি মাটি ফেলে ভরাট করছে। বিকল্প নিকাশি প্রণীলা তৈরি না করেই জলাশয় বুজিয়ে দেওয়ার অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মূলত যে এলাকাগুলি সবচেয়ে ভোগান্তির আশঙ্কা করছে, সেগুলি কলকাতা পুরসভায় ১০৭ এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। এগুলি হল নেতাজী নগর, ভিআইপি নগর, উত্তর পঞ্চান্নগ্রাম, দক্ষিণ পঞ্চান্নগ্রাম, টেগোর পার্ক, মাতঙ্গিনী কলোনি, আনন্দপুর, শান্তি কলোনি, কালিকাপুর। সবমিলিয়ে এখানে বাসিন্দার সংখ্যা পৌনে দু লক্ষ। বেশিরভাগ বাড়িই একতলা। ফলে জল না সরলে কি হবে, ভাবতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।