কলকাতা পুরসভায় ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের মাইনে নিয়েও দুর্নীতি?
কলকাতা পুরসভায় ফের বড়সড় দুর্নীতির ছায়া। এবার আঙুল উঠল শহুরে রোজগার যোজনা দফতরের দিকে। একশো দিনের কাজের কর্মীদের মাইনে নিয়ে বিতর্ক। উঠছে আর্থিক গরমিলের অভিযোগ। এর মাঝে পড়ে তিন মাস ধরে বেতন বন্ধ কর্মীদের।
কলকাতা: কলকাতা পুরসভায় ফের বড়সড় দুর্নীতির ছায়া। এবার আঙুল উঠল শহুরে রোজগার যোজনা দফতরের দিকে। একশো দিনের কাজের কর্মীদের মাইনে নিয়ে বিতর্ক। উঠছে আর্থিক গরমিলের অভিযোগ। এর মাঝে পড়ে তিন মাস ধরে বেতন বন্ধ কর্মীদের।
কখনও ত্রিফলা, কখনও অন্য কোনও কেলেঙ্কারি। বারবার দুর্নীতি-বিতর্কে কলকাতা পুরসভা। এবার একশো দিনের কাজের কর্মীদের মাইনে নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ।
আবারও দুর্নীতি!
একজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬-৭ জন পর্যন্ত টাকা তুলছেন।
প্রশ্ন১: সচিত্র পরিচয়পত্র না দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে কীভাবে টাকা তোলা হল?
যে বিল তৈরি হয় তা কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের বরো ইঞ্জিনিয়ারদের খতিয়ে দেখে সই করার কথা।
প্রশ্ন ২: সেক্ষেত্রে এই অনিয়ম কেন ধরা পড়ল না?
ওয়ার্ডপিছু এক-একটি দফতরে এগারো জন করে লোক নিয়োগ করার কথা।
প্রশ্ন ৩: কীভাবে তাহলে তিরিশ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ হল?
এত কাণ্ডের মাঝে পড়ে, বন্ধ সাধারণ কর্মীদের পেমেন্ট। এ সপ্তাহে পুরসভায় জরুরি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত অক্টোবরের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। তাতেও বাকি পড়ে যাচ্ছে মাইনে। একশো দিনের কাজের ১৪ হাজার কর্মীর জন্য চলতি আর্থিক বছরে ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু কোথায় যাচ্ছে সেই টাকা? এখন প্রশ্ন এটাই। সামনে বিধানসভা ভোট। বিরোধীদের অভিযোগ, তাই যেনতেন ভাবে এখন দুর্নীতি ঢাকতে ব্যস্ত প্রশাসন।