আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার

এবার থেকে কলকাতা পুরসভার যে কোনও পেমেন্টের কাগজে থাকতে হবে সেই দফতরের বিভাগীয় প্রধানের সই। যাতে পরে হিসেবে কোনও গরমিল ধরা পড়লে বিভাগীয় প্রধানের কাছে কৈফিয়ত তলব করা যায়। গলদ ধরা পড়লে তার শাস্তিও পাবেন অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান।

Updated By: Feb 9, 2016, 08:41 PM IST
আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার

কলকাতা : এবার থেকে কলকাতা পুরসভার যে কোনও পেমেন্টের কাগজে থাকতে হবে সেই দফতরের বিভাগীয় প্রধানের সই। যাতে পরে হিসেবে কোনও গরমিল ধরা পড়লে বিভাগীয় প্রধানের কাছে কৈফিয়ত তলব করা যায়। গলদ ধরা পড়লে তার শাস্তিও পাবেন অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান।

ট্রাইডেন্ট থেকে মেডিক্লেম দুর্নীতি। একাধিক অভিযোগে নাম জড়িয়েছে কলকাতা পুরসভার। এবার কড়া নাড়ছে বিধানসভা ভোট। তার আগে নতুন করে  কোনও আর্থিক দুর্নীতিতে জড়াতে রাজি নয় কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত ১৮ হাজার ঠিকাদার । প্রতিবছর পুর কোষাগার থেকে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার বিল ঠিকাদারদের জন্যই মেটানো হয়। ঠিকাদারদের বিল মেটানো নিয়েও ফাঁস হয়েছে একাধিক দুর্নীতি।

পুর পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আর্থিক লেনদেনে গরমিলে স্বচ্ছ্বতা আনতে তাই ঠিকাদারদের অনলাইন পেমেন্টের বন্দোবস্ত করেছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তাতেও হিসেবে গরমিল ঠেকানো যায়নি। সম্প্রতি নিকাশি দফতরে এক বড়সড় গরমিল ধরা পড়ে। আর সেই গরমিল ঠেকাতেই এবার এক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে পুরসভা। ১৮ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুর কমিশনার খলিল আহমেদ জানিয়েছেন, এবার থেকে যে কোনও পেমেন্টের কাগজে থাকতে হবে সেই দফতরের বিভাগীয় কন্ট্রোলিং অফিসার অথবা ডিরেক্টর জেনারেলের সই। সই না থাকলে বিল অনুমোদিত হবে না। পরে হিসেবে কোনও গরমিল ধরা পড়লে সেই বিভাগীয় প্রধানদেরকেই দায়ী করা হবে।

সূত্রের খবর, ঠিকাদারদের বিল মেটানো নিয়ে পুরসভার অন্দরেই তৈরি হয়েছে এক দুর্নীতি চক্র। চলছে নানা কারচুপি। তার থেকে ঠিকাদাররাও যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমনি পুর আধিকারিদের পকেটে ঢুকেছে মোটা টাকা। সেই চক্র ভাঙতেই এই অনলাইনে বিল মেটানোর ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।

.