থানার ভিতরে আইসিকে গালিগালাজ-মারধোর ওসির
থানার মধ্যে সাব ইন্সপেক্টরকে গালিগালাজ, মারধর। অভিযোগ খোদ ওসির বিরুদ্ধেই। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ পুলিসকর্মীরা। এর আগেও একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত কাশীপুর থানার ওসি কলিমুদ্দিন। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সোনালী সাহা নামে এক মহিলার। কালীঘাটের বাসিন্দা ওই মহিলার মৃত্যুর পরেই কাশীপুর থানায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে নির্দেশ আসে ময়নাতদন্তের জন্য দ্রুত কাগজপত্র তৈরি করার। সেই কাগজপত্রই তৈরি করছিলেন এসআই বাদল দত্ত। হঠাত করেই থানায় ঢোকেন ওসি মহম্মদ কলিমুদ্দিন। দেরি হচ্ছে কেন, এই অভিযোগে বাদলবাবুকে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করেন। বাদলবাবুর পাল্টা প্রশ্ন ছিল, গালিগালাজ করছেন কেন? এরপরেই তাঁকে মারধর করেন কলিমুদ্দিন। গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
থানার মধ্যে সাব ইন্সপেক্টরকে গালিগালাজ, মারধর। অভিযোগ খোদ ওসির বিরুদ্ধেই। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ পুলিসকর্মীরা। এর আগেও একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত কাশীপুর থানার ওসি কলিমুদ্দিন। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সোনালী সাহা নামে এক মহিলার। কালীঘাটের বাসিন্দা ওই মহিলার মৃত্যুর পরেই কাশীপুর থানায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে নির্দেশ আসে ময়নাতদন্তের জন্য দ্রুত কাগজপত্র তৈরি করার। সেই কাগজপত্রই তৈরি করছিলেন এসআই বাদল দত্ত। হঠাত করেই থানায় ঢোকেন ওসি মহম্মদ কলিমুদ্দিন। দেরি হচ্ছে কেন, এই অভিযোগে বাদলবাবুকে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করেন। বাদলবাবুর পাল্টা প্রশ্ন ছিল, গালিগালাজ করছেন কেন? এরপরেই তাঁকে মারধর করেন কলিমুদ্দিন। গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কলিমুদ্দিনের। কিন্তু কোনওবারই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনা ১: পার্ক স্ট্রিট থানায় গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযোগ না নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওসি কলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে। কিন্তু শাস্তির কোপে পড়েন দুই সাব ইন্সপেক্টর।
ঘটনা ২: বেনিয়াপুকুরে থাকাকালীন এক কনস্টেবলের সঙ্গে দুর্বব্যবহার করলে ওই কনস্টেবল ওসিকে মারতে যান।
ঘটনা ৩: কার্তিক চ্যাটার্জি নামে পার্ক স্ট্রিট থানার এক এসআই আত্মঘাতী হয়েছিলেন। সেই সময়েও ওই থানার ওসি ছিলেন কলিমুদ্দিন। সাত তাড়াতাড়ি কার্তিক চ্যাটার্জির বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করেন।
ওসিকে আড়াল করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই বন্দোবস্ত করলেন বলে অভিযোগ ওঠে। আদতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল এবং পুলিসের উচু মহলের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে বারবার পার পেয়েছেন মহম্মদ কলিমুদ্দিন। সেকারণেই এবারও থানায় সবার সামনে এসআইকে মারধর করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না।
ইতিমধ্যেই ঘটনাটি জেনেছেন ডিসি সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু থানায় বসানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ এখনও দেখা হয়নি।তদন্ত তো দূর অস্ত, নিদেনপক্ষে জানতে চাওয়া হয়নি, সেদিন কী ঘটেছিল।