দলে কোনও প্রভাব পড়বে না: Sougata,'অনেক আগে থেকে জানি', প্রতিক্রিয়ায় বললেন Kalyan
শুভেন্দুর ইস্তফাপত্রে তারিখ নেই কেন? প্রশ্ন তুললেন TMC মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এটাই তাহলে প্রত্যাশিত ছিল! শুভেন্দুর ইস্তফা নিয়ে কার্যত তেমনটাই বললেন তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। সৌগতের বক্তব্য, 'আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিল BJP-তে যাবে। দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। ও (Suvendu Adhikari) এমন কেউ নয়।' কল্যাণের (Kalyan Banerjee) প্রতিক্রিয়া, 'আমি অনেক আগে থেকে জানি। কিছু বলিনি।' শুভেন্দুর ইস্তফাপত্রে তারিখ নেই কেন? প্রশ্ন তুললেন TMC মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ইস্তফাকে সমর্থন; নিজেও বিক্ষুব্ধ, জানালেন বাণী সিংহরায়
তখন দলের সঙ্গে টানাপোড়েন চরমে। কলকাতায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) ও সৌগত রায়ের (Sougata Roy) উপস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে ঘণ্টা দুয়েক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avishek Banerjee) ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। সেই বৈঠকের পর সৌগত রায় (Sougata Roy) জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে সদ্য পদত্যাগী বিধায়কের সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে! অন্য কোনও দলে যাচ্ছেন না, একসঙ্গে লড়াই করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এমনকী, ফোনে তাঁকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু এরপরই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। ভুল বোঝাবুঝি মেটা তো দূর অস্ত, উল্টে বৈঠকের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় অসন্তুষ্ট হন শুভেন্দু। সেকথা দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে জানিয়েও দেন তিনি। সূত্রের খবর তেমনই।
সরকারি পদ ও মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর শেষপর্যন্ত বুধবার নন্দীগ্রামের বিধায়কের পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাতে দিল্লি থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরে সৌগত রায় বলেন, 'এটা প্রত্যাশিতই ছিল। ১ ডিসেম্বরের পর থেকে শুভেন্দুর সঙ্গে আর কথা হয়নি। ও ঠিক করেই রেখেছিল BJP-তে যাবে। ২০০৪ সালে লক্ষ্মণ শেঠের কাছে হেরেছে। তার আগে কিরণময় নন্দের কাছে হেরেছে। দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। দলের সঙ্গে টানাপোড়েন পর্বে একাধিকবার শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তাঁর কী প্রতিক্রিয়া? রাজ্যের শাসকদলের আইনজীবী সাংসদ বলেন, 'যাঁরা লোভী, যাঁদের বেশি উচ্চাঙ্খী, তাঁদের চলে যাবে। আমি অনেক আগে থেকে জানি। কিছু বলিনি।'
আরও পড়ুন: ইস্তফায় আইনি জটিলতা Suvendu-র! ইস্তফাপত্র পেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা: বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে বিধানসভায় গিয়ে সচিবের কাছে যে ইস্তফাপত্রটি জমা দিয়েছেন, সেই ইস্তফাপত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটির বিষয়টি সামনে এনেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, 'বর্তমান কোনও বিধায়ক যদি পদত্যাগ করতে চান, তাহলে স্পিকারের সামনে বসে তাঁকে নিজে হাতে ইস্তফাপত্র লিখতে হয়। সেই নিয়ম তো মানেননি শুভেন্দু। এমনকী, তাঁর ইস্তফাপত্রে কোনও তারিখ নেই। বয়ান বা ফর্ম্যাটটিও সঠিক নয়।' সেক্ষেত্রে 'বিধায়ক' শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্রটি আদৌ গৃহীত হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল(Kunal)।
এদিন সাংসদ সৌগত রায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই দিল্লি থেকে ফিরলেন BJP নেতা সব্যসাচী দত্তও (Sabyasachi Dutta)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে শুভেন্দুর পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূল ত্যাগী এই নেতা। বলেন,' এটা হওয়ারই ছিল। এ তো সবে ট্রেলার, সিনেমার এখনও অনেক বাকি। বারো রিলের সিনেমা। যেভাবে ধস নেমেছে, দেখা যাক শেষপর্যন্ত কী হয়!।'