Man Arrested Near CM House: ৭-৮ মাস ধরে পুলিস পরিচয় দিচ্ছিল নূর, রয়েছে এক মহিলা ব্যবসায়িক পার্টনারও
অস্ত্র-সহ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে সন্দেহভাজন। ধৃত নুর আমিনকে আজ আদালতে পেশ। হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে পুলিস। কেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এত কাছে? কীভাবে ভুয়ো পরিচয়পত্র জোগাড়? পুলিস লেখা টুপি কেন, জানতে চান তদন্তকারীরা।
পিয়ালি মিত্র: একটা বেস বল খেলার লাঠি, ১৫ ইঞ্চি ধারাল কুকরী এবং ৯ ইঞ্চি ছুরি উদ্ধার হয়েছে । পুলিস জানতে পেরেছে, গত সাত আট মাস ধরে পুলিসের পরিচয় দিচ্ছিল ধৃত নূর। এমনকী নূরের ব্যবসায়িক পার্টনার রয়েছেন এক মহিলা। সেই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ২১ জুলাই অস্ত্র-সহ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে সন্দেহভাজন। ধৃত নুর আমিনকে শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে পুলিস।
ইজিমধ্যেই কালীঘাট থানায় জিজ্ঞাসাবাদ নুর আমিনকে। কেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এত কাছে নুর আমিন? কীভাবে একাধিক ভুয়ো পরিচয়পত্র জোগাড়? পুলিস লেখা টুপি কেন, জানতে চান তদন্তকারীরা। এমনকী নিজেকে “মানসিক রোগী” বলে দাবি করছেন নুর। কিন্তু সেই দাবি কতটা সত্য সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে যে চিকিৎসকে দেখাতেন নূর সেই চিকিৎসক জিজ্ঞেসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।
যেভাবে নিখুঁতভাবে একের পর এক ভুয়ো আই কার্ড বানিয়েছে ওই অভিযুক্ত, যেভাবে ২১ জুলাই দিনটেকে বেছে নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার, যেদিন অনেকেই আসেন মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করার জন্য তাতে তাঁকে মানসিক অসুস্থ মানতে নারাজ তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের ধারণা গোটা বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পনার অঙ্গ ।পুলিস সূত্রের দাবি, তার কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে ৯ এমএম গোত্রের!
যে গাড়িটি আটক করা হয়েছে, সেখানে কলকাতা পুলিস লেখা একটা বোর্ড সামনের দিকে ছিল। এছাড়াও গভমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল অন ডিউটি লেখা আরও একটা বোর্ড পাওয়া গিয়েছে গাড়িটি থেকে। IPS রা যে ধরনের বেল্ট ব্যাবহার করেন সেই বেল্টও পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া যে ফায়ার আর্মস উদ্ধার করা হয়েছে সেটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। নূরের মোবাইল হেফাজতে নিয়ে তার কল রেকর্ড ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারী কর্তারা জানতে পেরেছেন, ২১ নম্বর মার্টিন পাড়ার বাড়ি থেকে গতকাল সকাল বেলায় বেড়িয়ে পড়েছিল শেখ নূর আমিন। প্রথমে কয়েকটা জায়গা ঘুরে বেড়ায় সে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে চলে আসে। তবে ধৃতের কাছ থেকে যে গুলি উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলি নিয়ে তদন্তকারী কর্তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলে শেখ নূর আমিন জানায়, সে আর্মি তে চাকরি করে, আইবি তে চাকরি করে, সেন্ট্রাল গভমেন্টে এই ধরনের চাকরি করতে গেলে এই সব জিনিস রাখতে হয়।
ধৃতের কথায় অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারী কর্তারা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পুলিসের একটা টিম ধৃতের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশপাশের প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারী কর্তারা। পুলিসকে তাঁরা জানিয়েছে, শেখ নূর আমিন নিজেকে পুলিস বলে পরিচয় দিত। তবে পুলিস পরিচয় দিয়ে কোথাও তোলাবাজি করেছে কি না সে বিষয়ে এখনও কিছু পাননি তদন্তকারী কর্তারা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও কোনও পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্জ পাওয়া যায়নি শেখ নূর আমিনের। পরিবারের তরফে পুলিসকে জানান হয়েছে, শেখ নূর আমিন মানসিক ভারসাম্যহীন। যদি সত্যিই কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে থাকে তাহলে কেউ কি করে গাড়ি চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে চলে আসতে পারে? উত্তর খুঁজছে পুলিস। একইসঙ্গে কোনও পরিকল্পনা করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে চলে এসেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী কর্তারা।
আরও পড়ুন, Suvendu Adhikari: আমি হতবাক, এই তথ্য উনি কোথায় পেলেন? শুভেন্দুর নিশানায় ডিজি