'দ্বিতীয়বার মাকে হারালাম'; আগামিকাল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য মহাশ্বেতা দেবীর
শুক্রবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার মহাশ্বেতা দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রবীন্দ্রসদনে শায়িত থাকবে দেহ। তারপর পরিবারের ইচ্ছানুসারে, কোনও শ্মশানে অন্ত্যেষ্টি হবে। আজ রাতে পিস হ্যাভেনে শায়িত থাকবে দেহ।
ওয়েব ডেস্ক : শুক্রবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার মহাশ্বেতা দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রবীন্দ্রসদনে শায়িত থাকবে দেহ। তারপর পরিবারের ইচ্ছানুসারে, কোনও শ্মশানে অন্ত্যেষ্টি হবে। আজ রাতে পিস হ্যাভেনে শায়িত থাকবে দেহ।
এদিকে, মহাশ্বেতা দেবীর প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ সবাই। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কবীর সুমন বলেন, "দ্বিতীয়বার মাতৃহারা হলাম।" সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন,
"মহাশ্বেতা দেবী নেই শুনে খারাপ লাগছে। তিনি আমাদের অভিভাবকের মতো ছিলেন।" আরেক বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ বলেন, "মহাশ্বেতা দেবীর মতো সাহিত্যিক অনেক যুগ পরে আসেন। তাঁর জীবনযাত্রাও ছিল খুব সাধারণ।"
"প্রতিবাদের ওপর নাম ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। শুধু লেখনীর মধ্যে দিয়েই নয়। প্রয়োজনে পথে নেমেও প্রতিবাদ করেছেন তিনি। কারণ প্রতিবাদ করতে কখনও ভয় পাননি মহাশ্বেতা দেবী।" বলেন বিশিষ্ট পরিচালক অপর্ণা সেন। মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যু সংবাদে শোকস্তব্ধ অমিতাভ বচ্চনও। চব্বিশ ঘণ্টাকে পাঠানো এক্সক্লুসিভ শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, "মহাশ্বেতা দেবীর প্রয়াণ আমি গভীর ভাবে শোকাহত। শুধু বাংলার নন, মহাশ্বেতা দেবী গোটা দেশের অহংকার। তিনি একজন মহত্ ব্যক্তিত্ব। সাহিত্য জগতে তাঁর অবদান চিরায়ত।"