জামিন পেলেও এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি জ্যোতির্ময়

জামিন পেলেও এখনও তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা প্রত্যাহার হয়নি। হাতে কাজ নেই। কীটনাশক ছড়ানোর যন্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। মহাকরণে কেরোসিনকাণ্ডে অভিযুক্ত জ্যোতির্ময় নন্দীর স্মৃতিতে ভিড় করে আছে লকআপের দিনগুলির দুর্বিষহ স্মৃতি। আগামীদিনে কীভাবে পরিবারের সদস্যদের অন্নসংস্থান করবেন তা ভেবেই কুল কিনারা পাচ্ছেন না জ্যোতির্ময়।

Updated By: Dec 8, 2013, 10:37 PM IST

জামিন পেলেও এখনও তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা প্রত্যাহার হয়নি। হাতে কাজ নেই। কীটনাশক ছড়ানোর যন্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। মহাকরণে কেরোসিনকাণ্ডে অভিযুক্ত জ্যোতির্ময় নন্দীর স্মৃতিতে ভিড় করে আছে লকআপের দিনগুলির দুর্বিষহ স্মৃতি। আগামীদিনে কীভাবে পরিবারের সদস্যদের অন্নসংস্থান করবেন তা ভেবেই কুল কিনারা পাচ্ছেন না জ্যোতির্ময়।

এখন আর ছেলের কাজে যাওয়ার তাড়া নেই। তাই মাঝ দুপুরে ভাত ফোটালেও আসুবিধে হয় না আর। অন্য রবিবার নিয়ম করে মাছ কিমবা ডিম পাতে রাখার ব্যাপারে সযত্ন দৃষ্টি দিতেন মা। গত দশদিনের অসম যুদ্ধে সংসার চালানোর রসদে টান পড়েছে। তাই রান্নার মেনুতে ভাত আর ফুলকপির তরকারি। লড়াইয়ের নতুন মুখ জ্যোতির্ময় নন্দী। শ্রীরামপুরের বাড়িতে পরিবারের সকলকে নিয়ে ফেরার লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন। ফিরতে চাইছেন জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে। কিন্তু শতচেষ্টা করেও পারছেন না। হেয়ার স্ট্রিট থানার লকআপে থাকার স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁকে।

মহাকরণে উইপোকা মারতে ডাক আসত মাসে একবার। কীটনাশক খরচ বাদ দিয়ে হাতে থাকত তিনশো টাকা। পরিবারের একমাত্র আয়ের উত্সও তিনি। তাই ওই কাজের ফাঁকে সময় পেলে কুরিয়রের কাজও করতেন। মহাকরণে নাশকতা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর টানা দশদিন সবকিছু বন্ধ। সংসার সামলাবেন কীভাবে জানেন না তিনি নিজেও। তাই বারবার একটা কাজ জুটিয়ে দেওয়ার আকুতি করছেন তিনি। এই জ্যোতির্ময়কে চেনেন না নন্দী পরিবার। বাবা বিশ্বনাথ নন্দী থেকে শুরু করে মা চিত্রা নন্দী কিমবা স্ত্রী অপর্ণা সবাই চাইছেন এই বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুর বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্য।

.