বাবা খাদ্যমন্ত্রী, তাই কি ডকুমেন্টরি তৈরির বিশেষ কমিটিতে ছেলে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ডকুমেন্টরি তৈরির জন্য কমিটি গঠন। খোদ উপাচার্য নিজে তৈরি করলেন সেই কমিটি। আর সেই কমিটিতেই স্থান পেলেন বায়োসায়েন্সের এক রিসার্চ স্কলার। ডকুমেন্টরি তৈরির কমিটিতে বায়োসায়েন্সের রিসার্চ স্কলারকে ঢোকানোর সিদ্ধান্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, রিসার্চ স্কলারের বাবা রাজ্যর খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সে জন্যই কি তাকে বিশেষ গুরুত্ব। উপাচার্য অবশ্য এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতেই রাজি নন।

Updated By: Jul 9, 2014, 11:35 PM IST

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ডকুমেন্টরি তৈরির জন্য কমিটি গঠন। খোদ উপাচার্য নিজে তৈরি করলেন সেই কমিটি। আর সেই কমিটিতেই স্থান পেলেন বায়োসায়েন্সের এক রিসার্চ স্কলার। ডকুমেন্টরি তৈরির কমিটিতে বায়োসায়েন্সের রিসার্চ স্কলারকে ঢোকানোর সিদ্ধান্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, রিসার্চ স্কলারের বাবা রাজ্যর খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সে জন্যই কি তাকে বিশেষ গুরুত্ব। উপাচার্য অবশ্য এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতেই রাজি নন।

রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্ট বলে এর আগেও অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। আর এবার সেই অভিযোগ আরও জোরদার হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর তৈরি হবে ডকুমেন্টরি। ডকুমেন্টরির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে উপাচার্য নিজে তৈরি করলেন কমিটি। কমিটির চার সদস্যের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপক, যাদের মধ্যে একজন পড়ান সিনেমা। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস্। তবে কমিটির চতুর্থ সদস্যের নাম ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বায়োসায়েন্সের এক রিসার্চ স্কলারকে কমিটিতে রেখেছেন উপাচার্য। প্রশ্ন উঠছে কিভাবে বায়োসায়েন্সের রিসার্চ স্কলার ফিল্মের জন্য তৈরি কমিটিতে থাকেন। তবে কি ওই গবেষক ছাত্রীর বাবা তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হওয়াতেই এই বিশেষ সিদ্ধান্ত। অভিযোগে সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও রিসার্চ স্কলারদের সংগঠন।

উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তী অবশ্য এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রয়াই দিতে রাজি হননি। তবে শাসক দলের প্রতি বিশেষ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এর আগেও উপাচার্যের বিরুদ্ধে উঠেছে । কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি এড কেলেঙ্কারির তদন্তের সময় তিনি অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার প্রতি বিশেষ সহানুভুতি দেখিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। কিন্তু বর্তমান শাসকদলেরই তৈরি নিয়ম বলছে উপাচার্য কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখাতে পারেন না। প্রশ্ন উঠছে তাহলে যার বিরুদ্ধে বারেবারে অভিযোগ উঠছে তাঁর সেক্ষেত্রে সরকারের এত শিথিল মনোভাব কেন।

.