Justice Abhijit Gangopadhyay: 'পশ্চিমবঙ্গে বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা চলছে'
হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ চলাকালীন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল দু'পক্ষ। আদালত অবমাননার রুলিং জারি।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'পশ্চিমবঙ্গে বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা চলছে'। হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে অচলাবস্থা নিয়ে বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, 'প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন যে, আমাদের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয় যে, কাউকে চাইলেই সন্ত্রস্ত করতে পারবে। এটা সম্ভব হবে না। যাঁরা ভাবছেন, তাঁরা ভুল ভাবছেন'।
হাইকোর্টে তিনি নিজেও আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। ২১ দিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করেছিল বার অ্যাসোসিয়েশন। এবার রেহাই পেলেন না বিচারপতি রাজশেখর মান্থাও। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমি কোনও দলের হয়ে বলছি না। কোনও দল করেছে কিনা, তাও জানি না। শুনেছি, শাসকদল এটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু যারা করেছে, তাদের চিনি। তাঁরা এর আগেও করেছেন। কী উদ্দেশ্য নিয়ে করেছেন, তা তদন্তসাপেক্ষ'।
এদিকে হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাস বয়কটের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনজীবীদের একাংশ, সেই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশনও। বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Kolkata High Court: বয়কট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস, সিদ্ধান্তে বিভক্ত বার এসোসিয়েশন
এর আগে, গতকাল, সোমবার বিচারপতি মান্থারের এজলাসে বাইরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। এমনকী, বিক্ষোভ চলাকালীন দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। এই ঘটনায় আদালত অবমাননার রুলি জারি করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, জলাসের বাইরে সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে। মামলাকারীদের কাছে থাকা সব তথ্য জমা দিতে হবে আদালতে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।