Jharkhand MLA Arrested: হাইকোর্টে ধাক্কা, ঝাড়খণ্ডের ধৃত ৩ বিধায়কের আর্জি খারিজ
২৯ জুলাই পাঁচলায় ৪৯ লাখ টাকা সহ ওই ৩ বিধায়ক ও তাদের ২ সঙ্গী ধরা পড়ার পর ওই টাকার উত্স সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তখনই সিআিডির দলটি চলে আসে সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলে কিছুক্ষণের জন্য ছিলেন ওই ৩ জন। সেই সময় তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এক যুবক
অর্ণবাংশু নিয়োগী: কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে জোর ধাক্কা খেলেন ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। বিপুল টাকা-সহ গত ২৯ জুলাই তাঁরা ধরা পড়েন হাওড়ার পাঁচলায়। ওই টাকার রহস্য ভেদ করতে তদন্তে নেমেছে সিআইডি। অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের এক বিধায়ককে টাকা দিয়ে ঝাড়খণ্ডের সোরেন সরকারকে ফেলার ষড়যন্ত্র করছিলেন তাঁরা। তদন্ত তেজি হতেই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন, তদন্তের ভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। কিন্তু বৃহস্পতিহার সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন-এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি! কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা, বিপাকে বিজেপি বিধায়ক
ওই মামলায় আজ ধৃতদের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন মামলাটিতে ইতিমধ্য়েই রাজনৈতিক রঙ লেগেছে। এতে মামলাটি প্রভাবিত হতে পারে। তাই মামলাটির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। অন্যদিকে, সরকরি আইনজীবীর দাবি, কারা তদন্ত করবে তা অভিযুক্তরা বলতে পারেন না। ওইসওয়াল জবাবের পরই বিচারপতি সিআইডি তদন্তের পক্ষেই সায় দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, নিরপেক্ষভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সিআইডি। গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য মামলা হস্তান্তরের জন্য পর্যাপ্ত নয়। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশে বলা হয়েছে যে অভিযুক্তরা কখনওই তদন্তকারী সংস্থা নির্বাচন করতে পারে না। অভিযুক্তদের গাড়ি পাঁচলা থেকে আটক হয়েছে। ফলে তদন্ত করতে রাজ্য পুলিসের কোনও অসুবিধা নেই। তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিসের তরফে যে প্রক্রিয়াগত গাফিলতির অভিযোগ মামলাকারীরা করেছেন তাও গ্রহনযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই পাঁচলায় ৪৯ লাখ টাকা সহ ওই ৩ বিধায়ক ও তাদের ২ সঙ্গী ধরা পড়ার পর ওই টাকার উত্স সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তখনই সিআিডির দলটি চলে আসে সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলে কিছুক্ষণের জন্য ছিলেন ওই ৩ জন। সেই সময় তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এক যুবক। পরে তিনি একটি স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরে ফিরে আসেন একটি ব্যাগ নিয়ে। সিআইডির অনুমান ছিল ওই ব্যাগেই আনা হয়েছিল ওই ৪৯ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত, ওই ৩ বিধায়ক ধরা পড়ার পর ঝাড়খণ্ডের আরগোরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেসের এক বিধায়ক। তিনি দাবি করেন, তাঁকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন ওই ৩ জন। পাশাপাশি তারা বলেছিলেন অসমে গিয়ে তাঁরা অসমে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন। তদন্তে উঠে আসে এ ব্যাপারে মধ্যস্থতা করেছিলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে দিল্লির এক বাসিন্দা। সেই সিদ্ধার্থর বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে ধাক্কা খায় সিআইডি। তল্লাশির ব্যাপারে সাহায্য় করেও শেষপর্যন্ত তল্লাশি বাতিল করতে বলে দিল্লি পুলিস।