বিজেপির শরিক JDU-র সহ-সভাপতি প্রশান্ত কীভাবে মমতার কৌশলী? প্রশ্ন নীতীশের দলে
বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচনী রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারে বিজেপির শরিক দল জেডিইউ-র সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মমতার গাঁটছড়া নিয়ে অন্ধকারে তাঁর দল। নীতীশের দলের মুখপাত্র অজয় অলোক দাবি করেছেন, মমতার সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠকের ব্যাপারে বিন্দুবিসর্গ জানে না দল।
বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে সাক্ষাত করেন নির্বাচনী রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর। দুজনের মধ্যে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে চলে বৈঠক। সূত্রের খবর, তৃণমূলের একুশের জয়ের কৌশল রচনা করতে সম্মত হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর গাঁটছড়া চূড়ান্ত হয়েছে। একমাস বাদেই কাজ শুরু করে দেবেন প্রশান্ত। কিন্তু প্রশান্ত তো এখনও জেডিইউ-র জাতীয় সহ-সভাপতি! আর নীতীশ কুমার তো বিহারে বিজেপির সঙ্গে সরকার চালাচ্ছেন। তৃণমূল আবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রশান্তকে কাজে লাগাতে চাইছে। এটা কীভাবে সম্ভব?
মমতা-প্রশান্ত বৈঠকের ব্যাপারে অন্ধকারে জেডিইউ। দলের মুখপাত্র অজয় আলোক বলেন,'প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে? কেন হয়েছে? কী হয়েছে? এব্যাপারে কিছুই জানে না দল। বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেন প্রশান্ত কিশোরই। দলের কোনও ভূমিকা নেই'।
प्रशांत किशोर जी और ममता जी के बीच क्या बैठक हुई ? क्यों हुई ? क्या हुआ ? हमें इसकी कोई जानकारी नहीं हैं ना ही पार्टी को इसके बारे में कुछ मालूम हैं । इस मामले पे प्रकाश स्वयं प्रशांत किशोर ही डाल सकते हैं । पार्टी का कोई लेना देना नहीं हैं ।
— Dr Ajay Alok (@alok_ajay) June 6, 2019
জেডিইউ-কে না জানিয়েই কি তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে এসেছেন প্রশান্ত? অজয় অলোক একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, অন্য দলের নির্বাচনী রণনীতিকার হওয়ার আগে দলের সভাপতির অনুমোদন নিতে হবে প্রশান্ত কিশোরকে।
২০১৪ সালে 'অচ্ছে দিন'-এর স্লোগান দিয়ে গোটা দেশে 'ব্র্যান্ড মোদী'র উত্থান। আর মোদীর 'লার্জার দ্যান লাইফ' ভাবমূর্তি তৈরির নেপথ্যে ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এরপর নীতীশ কুমারের সঙ্গে কাজ করেন প্রশান্ত। তাঁকে দলের সহ-সভাপতিও করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এখনও সেই পদে রয়েছেন প্রশান্ত। তবে সদ্য জগন্মোহন রেড্ডি নির্বাচনী রণনীতিকার হয়েছিলেন তিনি। বিধানসভা ভোটে ১৭৫টি আসনের মধ্যে ১৫০টিই জিতেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশান্তকে কাজ করার অনুমতি নীতীশ দিয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে বিকল্প পথও খোলা রয়েছে। দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় আসতে পারেন প্রশান্ত। সবমিলিয়ে গোটাটাই আপাতত ধোঁয়াশায় মোড়া।
আরও পড়ুন- রবীন্দ্র-নজরুলের শান্তির বাংলায় সন্ত্রাসের উলঙ্গ চিতা জ্বালাচ্ছে বিজেপি: মমতা