Jawhar Sircar: ক্ষোভ-বিতর্ক পিছনে ফেলে নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে উপস্থিত জহর সরকার
জহর সরকার বলেছিলেন, 'টিভিতে দেখে বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরিয়ে আসতে পারে তা ভাবতেই পারিনি। এরকম দৃশ্য খুবই কম দেখা যায়। লোকে এই নিয়ে মন্তব্য করবেই।'
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা সমাবেশ। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই দলকে বার্তা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সমাবেশে উপস্থিত আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে মমতা-অভিষেক কী বার্তা দেন? সেদিকেই নজর সবার। আজকের সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা প্রায় ১৭ হাজার নেতা-কর্মীর। যোগ দিচ্ছেন বুথ কর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, গোরুপাচার থেকে কয়লাপাচার, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির তদন্তে প্রতিদিনই অস্বস্তি বাড়ছে শাসক শিবিরের। নানা ইস্যুতে শাসকদলের চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে পুজোর আগেই কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করাই তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রধান লক্ষ্য। আর সেই সমাবেশে উপস্থিত সাংসদ জহর সরকারও।
ক্ষোভ প্রকাশ করার পর আজ প্রথমবার দলের বৈঠকে উপস্থিত জহর সরকার। প্রসঙ্গত কদিন আগেই দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জহর সরকার। তাঁর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিল দলও। জহর সরকার বলেছিলেন, 'টিভিতে দেখে বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরিয়ে আসতে পারে তা ভাবতেই পারিনি। এরকম দৃশ্য খুবই কম দেখা যায়। লোকে এই নিয়ে মন্তব্য করবেই। লোকের মুখ তো বন্ধ করা যায় না। ওসব দেখে বাড়ির লোকেরা বলল তুমি রাজনীতি-ই ছেড়ে দাও। এই পচন ধরা শরীর নিয়ে ২০২৪ সালের ভোটে লড়াই করা মুশকিল।'
আরও পড়ুন, Anubrata Mondal: অনুব্রতর সম্পত্তি সন্ধানে বোলপুরের ৬ ব্যাংক আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের
এত কঠোর ভাষায় দলের সমালোচনা করে বেশ কোণঠাসা ছিলেন জহর সরকার। জহর সরকারের মন্তব্যকে দল যে ভালোভাবে নেয়নি, তা বুঝিয়ে দিতেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও পরে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করে অ্যাড করা হয়ে জহরকে। তবে প্রকাশ্য়ে দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য জহর সরকারের উপর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে ক্ষুব্ধ, তা দলের এক সাংসদ তাঁকে জানিয়ে দেন বলে সূত্রের খবর। দলের একাধিক নেতার গ্রেফতার নিয়ে তৃণমূল যখন বেশ বিপাকে, তখন দলের সাংসদের প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা ভালোভাবে নেননি নেতৃত্ব। তারপর অবশ্য অভিষেকের সুরে অমিত শাহকে পাপ্পু বলে আক্রমণ করে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন তৃণমূল সাংসদ।