আইপিএলের জৌলুসে জম্পেশ জামাইষষ্ঠী
সকাল থেকেই কোথাও মেঘলা আকাশ। তার ওপর হাওয়া অফিসের `কয়েক পশলা` আশা। কোথাও আবার ঝলমল করছে রোদ। এরমধ্যেই যাবতীয় বাধা টপকে, লম্বা লাইনে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মত্স এবং আনাজ শিকার সেরে ফেলেছেন শ্বশুরকূল। হেঁশেলে পাক প্রণালীর নেতৃত্বে অবশ্যই শাশুড়িরা।
সকাল থেকেই কোথাও মেঘলা আকাশ। তার ওপর হাওয়া অফিসের `কয়েক পশলা` আশা। কোথাও আবার ঝলমল করছে রোদ। এরমধ্যেই যাবতীয় বাধা টপকে, লম্বা লাইনে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মত্স এবং আনাজ শিকার সেরে ফেলেছেন শ্বশুরকূল। হেঁশেলে পাক প্রণালীর নেতৃত্বে অবশ্যই শাশুড়িরা। রসে-বশে জামাই আদরের একটা সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ তাঁরা। সবমিলিয়ে জৈষ্ঠ্যের দুপুরে জমজমাট আয়োজন। তবে এবারের জামাইষষ্ঠীতে ব্রাত্য নন শ্বশুররাও। কারণ, দ্বিতীয়ার্ধে আছে আইপিএলের মেগা ফাইনাল। ফলে জামাইষষ্ঠী ২০১২-র বাড়তি পাওনা শ্বশুর-জামাই `আঁতাত`।
রোববারে সাতসকালেই শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন জামাইরা। শুরু হয়ে গিয়েছে আম, জাম, কাঁঠালে আপ্যায়ন। ছাতি ফাটা গরমে কেউ কেউ রসনায় লাগাম রাখলেও বাঁধ ভেঙেছে অনেকেরই। তার ওপর রয়েছে দ্বিপ্রাহরিক মহাভোজ। সঙ্গে অবশ্যই চলছে মেগাম্যাচ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। চিতল পেটি, ইলিশের গাদা সহযোগে ভোজনের পর একটু বিশ্রামের পরিকল্পনা নিয়েছেন অনেকেই। এই পর্যন্ত শাশুড়িদের জিম্মাতেই থাকতে হবে জামাইদের।
বিকেল গড়াতেই সখ্য বাড়ার সম্ভাবনা শ্বশুরদের সঙ্গে। ধোনি-গম্ভীর দ্বৈরথে যদিও কেকেআরের হয়েই সওয়াল করছেন বাংলার জামাইকূল। ম্যাচ শুরু হতেই আয়োজন রয়েছে খানা-পিনার। অনেক জায়গাতেই সেখানে ব্রাত্য শাশুড়িরা। কেউ কেউ `অশুভ-আঁতাত` বলে কটাক্ষ করলেও, এই সুযোগে মেয়ের সঙ্গে গল্প-গুজব করার ফন্দি এঁটে রেখেছেন অনেকেই।
তিনটি ম্যাচেরই ফল বোঝা যাবে সোমবার।