অনেক কেন আছে, তার উত্তর কারও কাছে নেই

আলোচনার প্রস্তাবেই শেষ পর্যন্ত উঠল অবস্থান। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তো শুক্রবারই এই প্রস্তাব দেয়। তাহলে কেন সিদ্ধান্ত নিতে লেগে গেল বাহান্ন ঘণ্টা? উঠছে প্রশ্ন।শুক্রবার সন্ধে ছটা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসমিতি জানিয়ে দেয় ছাত্রছাত্রীদের, নির্বাচনের দাবির সঙ্গে তাঁরা পুরোপুরি সহমত। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Updated By: Jan 11, 2016, 08:19 AM IST
 অনেক কেন আছে, তার উত্তর কারও কাছে নেই

ওয়েব ডেস্ক: আলোচনার প্রস্তাবেই শেষ পর্যন্ত উঠল অবস্থান। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তো শুক্রবারই এই প্রস্তাব দেয়। তাহলে কেন সিদ্ধান্ত নিতে লেগে গেল বাহান্ন ঘণ্টা? উঠছে প্রশ্ন।শুক্রবার সন্ধে ছটা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসমিতি জানিয়ে দেয় ছাত্রছাত্রীদের, নির্বাচনের দাবির সঙ্গে তাঁরা পুরোপুরি সহমত। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করা নিয়ে যে নির্দেশিকা, সেই নির্দেশিকা তাঁরা বয়ানেই এসেছে। কিন্তু পড়ুয়ারা সেদিন সেই বক্তব্য শোনেনি। তাঁদের দাবি, কোনও আলোচনা নয়, সেই মুহূর্তে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে হবে। রবিবার রাত দশটায় কোন শর্তে আন্দোলনকারীরা অবস্থান তুলল? সোমবার রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। আর এখানেই তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। এই আলোচনার কথায় তো শুক্রবার বলা হয়? তাহলে কেন সেদিন সে কথায় কান না দিয়ে তাঁরা ঘেরাও করল?
সত্যিই রহস্য আন্দোলনকারীদের এই সিদ্ধান্ত। যে সিদ্ধান্ত বাহান্ন ঘণ্টা আগে খুব সহজেই নিতে পারতেন তাঁরা। কোনও রকম অচলাবস্থা তৈরি না করে। উপাচার্য অবশ্য গোটা বিষয়টি দেখছেন সহমর্মিতার সঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, অবুঝ পড়ুয়াদের এই বারবার বোঝানোর প্রক্রিয়ায় কেন তিন দিন ধরে আটকে থাকতে হল বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ও অধ্যাপকদের? কেন সামগ্রিকভাবে তৈরি হল অচলাবস্থা? কেন বাতিল হল শিক্ষার আদান প্রদানের জন্য অধ্যাপক ও আধিকারিকদের রবিবারের নির্ধারিত চিন সফর? কেন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিরূপ বার্তা গেল আন্তর্জাতিক শিক্ষা মহলে?
অনেক কেন আছে, তার উত্তর কারও কাছে নেই।

 

.