মহামিছিল, ক্লাস বয়কট, গণভোট, ডিগ্রি প্রত্যাখ্যান, যাদবপুরের ৪ মাসের রোজনামচা

Updated By: Jan 13, 2015, 10:04 AM IST
মহামিছিল, ক্লাস বয়কট, গণভোট, ডিগ্রি প্রত্যাখ্যান, যাদবপুরের ৪ মাসের রোজনামচা

চার মাসের লড়াই। অবশেষে জিতল যাদবপুর। কোন পথে? চলুন দেখে নিই।

২৮ অগাস্ট-যাদবপুরের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ । তিনদিন পর সামনে আসে গোটা ঘটনা। ছাত্রীর বাবা অভিযোগ জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। অভিযোগ ফিরিয়ে দেন উপাচার্য। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর পরিবার। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী। তদন্ত শুরু করে আইসিসি কমিটি।

তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে না। এই অভিযোগে কমিটি বদলের দাবি তোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। শুরু হয় অবস্থান ।

১৬ সেপ্টেম্বর-বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসির মিটিংয়ে  বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আন্দোলনের পারদ চড়তে থাকে। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে পুলিস। গভীর রাতে পড়ুয়াদের ওপর নির্বিচারে চলে লাঠি। জখম হন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিস ডাকায় কাঠগড়ায় ওঠে উপাচার্যের নাম।

২০ সেপ্টেম্বর-ছাত্র আন্দোলনের এক নতুন মুখ দেখল শহর। মেয়ো রোড থেকে রাজভবন আন্দোলিত হলো হোক কলরবে। মিছিল থেকে উঠল উপাচার্য অপসারণের জোরালো দাবি।
উপাচার্য অপসারণের দাবিতে ক্লাস বয়কট শুরু করলেন আন্দোলনকারীরা। হোক কলরবের পাল্টা মিছিল বের করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পুজোর ছুটির মধ্যেই অভিজিত চক্রবর্তীকে স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হল। ছুটির পর খুলল বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস করলেও হাজিরা খাতায় গরহাজির পড়ুয়ারা।

ডিসেম্বরের শুরু

বিশ্ববিদ্যালয়ে গণভোট। ইঞ্জিনিয়ারিং, কলা বিভাগে ৯৭ শতাংশ পড়ুয়া ভোট দিলেন উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এরপরেও অনড় উপাচার্য। গণভোটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন বয়কট করলেন আন্দোলনকারীরা। মঞ্চেই রাজ্যপালকে শংসাপত্র ফিরিয়ে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা স্নাতক গীতশ্রী সরকার। শংসাপত্র ফেরালেন অনেকেই।

৬ জানুয়ারি ২০১৫-থেকে উপাচার্য অপসারণের দাবিতে শুরু হয় আমরণ অনশন। এরপরেও অনড় উপাচার্য। অনশনকারীদের লাগাতার আন্দোলনে চাপ বেড়েছে সরকারের ওপর।

১২ জানুয়ারি-অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করলেন উপাচার্যের পদত্যাগ।

.