যাদবপুরে আত্মঘাতী মাদকনির্ভর যুবক, পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভ
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিস। আর তখনই এক পুলিসকর্মীকে ধরে শুরু হয় মারধর। কোনওরকমে একটি বাড়িতে লুকিয়ে রক্ষা পান ওই পুলিসকর্মী। এর পরই এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিসবাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে হঠাতে শুরু হয় লাঠিচার্জ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যুবকের আত্মহত্যা ঘিরে রবিবার রাতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল যাদবপুরের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড। মাদক-নির্ভর হয়েই ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মাদক বিক্রির অভিযোগে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় একটি দোকানে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিস।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাত ১১টা নাগাদ। হঠাত্ই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, এলাকায় মাদক বিক্রি হয় জেনেও চুপ পুলিশ। চায়ের দোকানের জিনিস রাস্তায় ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন - কলকাতা সিপিএম-এ কল্লোল যুগের শুরু, বাদ একডজন 'বুড়ো নেতা'
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিস। আর তখনই এক পুলিসকর্মীকে ধরে শুরু হয় মারধর। কোনওরকমে একটি বাড়িতে লুকিয়ে রক্ষা পান ওই পুলিসকর্মী। এর পরই এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিসবাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে হঠাতে শুরু হয় লাঠিচার্জ। গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। চায়ের দোকানের মালিক ছবি দাস ও তাঁর পুত্রবধূ খুকুকে আটক করেছে পুলিস।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় খুলে আম বিক্রি হচ্ছে নেশার দ্রব্য। দেখেও দেখে না পুলিস। আর তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত হয়েছে মাদক কারবারিদের। অভিযোগ নেশার জালে পড়ে গিয়েছিলেন অমিত রায়। নেশার জন্য নানা জায়গা থেকে টাকা ধার নেওয়া শুরু করেন তিনি। দেনার দায়ে ডুবে যেতে থাকেন অমিত। টাকা জোগাড় করতে না পারায় বন্ধ হয়ে যায় নেশার জিনিস কেনা। অভিযোগ, তার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু অমিত নন, এলাকার বহু যুবকও মাদকনির্ভর হয়ে পড়ছেন।
গতরাতের ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর সোমবার সকালে থমথমে প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড। যে চায়ের দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল, তার সামনে বসেছে পুলিস পিকেট। ধৃত ছবি দাসের বাড়িতে ঝুলছে তালা।