গফিলতির অভিযোগে কাঠগড়ায় নামী হাসপাতাল
চূড়ান্ত অবহেলার অভিযোগে কাঠগড়ায় শহরের নামী হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। এক রোগীর ইঞ্জেকশন ভুল করে অন্য রোগীকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মানিকতলার জে এন রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে নারকেল ডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রোগীর পরিবারের তরফে।
চূড়ান্ত অবহেলার অভিযোগে কাঠগড়ায় শহরের নামী হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। এক রোগীর ইঞ্জেকশন ভুল করে অন্য রোগীকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মানিকতলার এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে নারকেল ডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রোগীর পরিবারের তরফে। অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন আগে মানিকতলার জে এন রায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বেলেঘাটার বাসিন্দা নন্দরানি চক্রবর্তী। ব্লাড সুগারের মাত্রা বেশি থাকায় পাশের বেডেই ভর্তি ছিলেন নিভা রায় নামে অন্য এক বৃদ্ধা। নিয়মিত ইনস্যুলিনের ইঞ্জেকশনও দেওয়া হত নিভা দেবীকে। বুধবারই হাসাপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা থাকলেও, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন নন্দরানি চক্রবর্তী। এরপরেই জানা যায় নিভা রায়ের ইনস্যুলিন ইঞ্জেকশন ভুল করে দেওয়া হয়েছে নন্দরানি চক্রবর্তীকে।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী নন্দরানি চক্রবর্তীর অভিযোগ, ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময়েই ভুল হচ্ছে বলে সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। এমনকী বারবার কর্তব্যরত নার্সকে বিষয়টি জানালেও তাঁর কথায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি নার্স। অভিযোগ, একপ্রকার জোর করেই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, বহুবার ব্যবহার করা সিরিঞ্জেই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ৫৬ বছরের নন্দরানি চক্রবর্তীর।
হাসপাতাল চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নন্দরানি চক্রবর্তীর পরিবারের সদস্যরা। কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ানোয় দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয় পুলিস। নন্দরানি চক্রবর্তীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।