Jadavpur University: যাদবপুরে আসবে ইসরোর প্রতিনিধি দল, তৃতীয় নোটিস শিশু সুরক্ষা কমিশনের
যাদবপুর কর্তৃপক্ষের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। তাদের বক্তব্য, 'যে সমস্ত রেকর্ড রাখার প্রয়োজন ছিল, তা রাখেনি কর্তৃপক্ষ।'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন এয়ার থিয়েটার বা ওএটি-তে ছড়িয়ে মদের বোতল। এদিন সকালে ওএটি পরিষ্কার করতে গিয়ে মদের বোতল স্তূপ দেখতে পান সাফাইকর্মীরা। প্রায় ৫০০ মদের বোতল উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যে প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, 'এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে কেন বসানো দরকার সিসিটিভি। কড়া নিরাপত্তা দরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে।'
কিন্তু কবে থেকে বসছে সিসিটিভি? বুদ্ধদেব সাউ বলেন,' আমি তো গতকালই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ করার জন্য। প্রথম পর্যায়ে গেটগুলো আর হস্টেলে সিসিটিভি বসানো হবে। তারপর ইসরোর সঙ্গে পরামর্শ করে যেখানে যেমন বলবে, তেমন ভাবে বসানো হবে সিসিটিভি। ইসরো একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।' প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকালে সিসিটিভি লাগানোর জন্য ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ক অর্ডারে সই করেছেন রেজিস্ট্রার। ৩ সপ্তাহের মধ্যে সিসিটিভি লাগানোর কাজ শেষ করতে হবে। একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়েই সিসিটিভি বসানো হবে বলে খবর। সিসিটিভি লাগানোর জন্য সরকারের কাছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ ১০টি সিসিটিভি লাগাতে খরচ হবে এই পরিমাণ টাকা।
এর পাশাপাশি, র্যাগিং রুখতে ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে এই নিয়ে কথাও বলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্য়পালকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও। একইসঙ্গে হায়দরাবাদের অ্যাডভান্সড ডেটা প্রসেসিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। এই বিষয়টি ফলপ্রসূ করতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে।
উল্লেখ্য, র্যাগিংয়েই যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। যে প্রসঙ্গে বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, 'তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েছে। কিন্তু আমি এখনও দেখিনি।' ওদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফের নোটিস পাঠিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। এই নিয়ে তৃতীয় দফায় নোটিস পাঠাল শিশু সুরক্ষা কমিশন। কারণ যাদবপুর কর্তৃপক্ষের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। তাদের বক্তব্য, 'যে সমস্ত রেকর্ড রাখার প্রয়োজন ছিল, তা রাখেনি কর্তৃপক্ষ।' যে প্রসঙ্গে বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, 'আমাদের ল সেল গোটা বিষয়টা দেখছে।'
পাশাপাশি, সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে ঢোকার ঘটনায় যাদবপুর থানাকে রেজিস্ট্রার রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। কালই সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে উপাচার্যকে নোটিস পাঠিয়েছিল পুলিস। সেনার পোশাক পরে ১০-১৫ জন ছেলেমেয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে যায়। যখন তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়, তখন তারা জানায় যে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নামে একটি অর্গানাইজেশনের সদস্য তারা। কিন্তু কেন তারা সেনার পোশাক পরে ক্যাম্পাসে ঢুকল? তা নিয়েই ধোঁয়াশা। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, Leaps and Bounds: লিপস অ্যান্ড বাউন্সসে তল্লাশি বিতর্কে অভিযোগকারীকে তলব ইডি-র