মদ্যপানের সঙ্গে অপরাধের সম্পর্ক কী আদৌ আছে
পুজো-মহরম। জোড়া উত্সবের জেরে টানা চার দিন রাজ্যে ড্রাই-ডে। বন্ধ মদ কেনা বেচা। রাজ্যের আবগারি দফতর চেয়েছিল প্রতিবারে মতোই এবারও একদিনই ড্রাই-ডে ঘোষণা করা হোক। কিন্তু দুই উত্সবের কথা বিচার করে শেষ পর্যন্ত চার দিনই ড্রাই-ডে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
ওয়েব ডেস্ক: পুজো-মহরম। জোড়া উত্সবের জেরে টানা চার দিন রাজ্যে ড্রাই-ডে। বন্ধ মদ কেনা বেচা। রাজ্যের আবগারি দফতর চেয়েছিল প্রতিবারে মতোই এবারও একদিনই ড্রাই-ডে ঘোষণা করা হোক। কিন্তু দুই উত্সবের কথা বিচার করে শেষ পর্যন্ত চার দিনই ড্রাই-ডে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
কলকাতা পুলিস জানিয়েছে, মহরম আর পুজো একই সময় পড়ে যাওয়াতেই আইন শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ফলে রেঁস্তোরা, নাইটক্লাব, পাব, ডিস্কো খোলা থাকলেও মদ পরিবেশন করা যাবে না। পুলিস গোটা বিষয়টির ওপর নজদারি চালাবে।
পুলিস প্রশাসন এই দাবি করলেও, আমাদের অভিজ্ঞতা কী বলছে?
মদ্যপানের সঙ্গে অপরাধের সম্পর্ক কী আদৌ আছে?
এনিয়ে বরাবরই মতভেদ রয়েছে। তবে উত্সবের দিনে আইনশৃঙ্খলার অবনতিই হোক বা অন্য কোনও গুরুতর অপরাধের পরিসংখ্যান কিন্তু তেমন নেই।
একমাত্র হরিদেবপুর গুলি কাণ্ড ছাড়া আর কোনও অপরাধের সঙ্গে মদ্যপানের কোনও যোগাযোগ খুঁজে পাচ্ছেন না পুলিসকর্তারাও। তাই প্রশ্ন একটাই, উত্সবের দিনগুলিতে মদ বিক্রির বন্ধের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার সম্পর্ক কোথায়? তবে মদের দোকান বিক্রি বন্ধের পক্ষের যুক্তি, সকলেই যে নিয়ন্ত্রিত মদ্যপান করে উত্সবে সামিল হবেন এমন গ্যারান্টিও বা কোথায়!