একবালপুর কাণ্ড: ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিসকেই দুষল ফরেনসিক দল
মা ও দুই মেয়ের নৃশংস খুনের প্রায় দু সপ্তাহ পর অবশেষে একবালপুরের ফ্ল্যাটে পৌছল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। আজ দুপুরে চার সদস্যের ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করে। বুধবার সকাল পর্যন্ত রাজ্য ফরেনসিক বিভাগের কাছে নমুনা সংগ্রহের জন্য কোনও রিকুইজিশনই পাঠায়নি কলকাতা পুলিস। পুলিসের ভুলেই নষ্ট হয়ে গেছে অনেক পারিপাশ্বিক তথ্যপ্রমাণ। তোপ রাজ্য ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের।
মা ও দুই মেয়ের নৃশংস খুনের প্রায় দু সপ্তাহ পর অবশেষে একবালপুরের ফ্ল্যাটে পৌছল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। আজ দুপুরে চার সদস্যের ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করে। বুধবার সকাল পর্যন্ত রাজ্য ফরেনসিক বিভাগের কাছে নমুনা সংগ্রহের জন্য কোনও রিকুইজিশনই পাঠায়নি কলকাতা পুলিস। পুলিসের ভুলেই নষ্ট হয়ে গেছে অনেক পারিপাশ্বিক তথ্যপ্রমাণ। তোপ রাজ্য ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের।
একবালপুর কাণ্ডে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। উনত্রিশে মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন পুষ্পা সিং এবং তাঁর দুই মেয়ে। একত্রিশে মার্চ পুলিসের উপস্থিতিতে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুষ্পা সিংয়ের পরিবার। ঘরের দেওয়াল, দরজার ফ্রেম, মেঝেয় পড়ে থাকা প্যাকিং বাক্সের গায়ে কোথাও লেগে ছিল রক্তের ছিটে, কোথাও আবার চাপ চাপ রক্ত। দরজায় রয়েছে আঁচড়ের দাগ। সবকিছুই নজর এড়িয়ে গিয়েছিল তদন্তকারী পুলিস কর্তাদের। দেখতে পাননি পুষ্পার পরিজনেরাও। বুধবার পরিবারের লোকজনই খুঁজে পান রক্তের দাগগুলি।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন-
দেহ উদ্ধারের আগে এবং পরে,দফায় দফায় একবালপুর থানা এবং কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা ঘর পরীক্ষা করেন। কীভাবে এতবড় সূত্র তাঁদের নজর এড়িয়ে গেল?
কেন এতবড় সূত্র ঘরে থাকা সত্ত্বেও, দেহ উদ্ধারের আগের দিন পর্যন্ত নিখোঁজের তদন্ত চালিয়ে গেল পুলিস?
ঘরে এতবড় সূত্র থাকা সত্ত্বেও, কেন ঘরটি সিল না করে পুষ্পার পরিবারকে থাকতে দেওয়া হল?
বুধবার সকাল পর্যন্ত রাজ্য ফরেনসিক বিভাগের কাছে নমুনা সংগ্রহের জন্য কোনও রিকুইজিশনই পাঠায়নি কলকাতা পুলিস। ফরেনসিক-পুলিস সমন্বয়ের অভাবে নষ্ট হচ্ছে পারিপাশ্বিক তথ্যপ্রমাণ। এই খবর সম্প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসেন লালবাজারের কর্তারা। দু ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দেওয়ালের লেগে থাকা রক্তে, যে দোকান ঘরে মিলেছিল তিনটি দেহ, সেই ঘরের ভাঙা মেঝের টুকরো এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞরা।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতে-
নিয়মিত ঘরের মেঝে,বেসিন এবং শৌচাগার ব্যবহার করেছে নিহতের পরিবার। পুলিস ঘর সিল না করায়, নষ্ট হয়ে গেছে অনেক তথ্যপ্রমাণ।
কেন দেহ উদ্ধারের বাহত্তর ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে এল ফরেনসিক দল?
পুলিস কর্তাদের দাবি- ফরেনসিক বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। গত দুদিন সরকারি ছুটি থাকায় বন্ধ ছিল দফতর। বন্ধ ছিল ফরেনসিক অধিকর্তার মোবাইল ফোনও। ফলে পাঠানো যায়নি রিকুইজিশন।
পুলিসের দাবি উড়িয়ে ফরেনসিক অধিকর্তা পাল্টা দাবি-
মোবাইল ফোন চালু ছিল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাই করা হয়নি।