রাজরোষে রাজ্য খোয়াচ্ছে দক্ষ আইপিএসদের

তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর রাজরোষে পড়েন বেশ কয়েকজন দক্ষ আইএএস এবং আইপিএস অফিসার। আইপিএস অফিসার মনোজ ভার্মা, দময়ন্তী সেন থেকে শুরু করে রাজ কানোজিয়া, কে হরিরাজন,  অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয় সবাইকে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাতের জেরে সরে যেতে হয় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম এবং তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকেও।

Updated By: Nov 1, 2013, 11:58 AM IST

দময়ন্তী সেন, পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের পরেই রাতারাতি বদলি করা হয় এই আইপিএস অফিসারকে। পরে ফিরিয়ে আনা হয় সিআইডিতে।
 
এরাজ্যের জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিসি অভিযানে সব চেযে বেশি সাফল্য এসেছিল যাঁর হাত ধরে, সেই মনোজ ভার্মার অবশ্য এই সৌভাগ্য হয়নি। তাকে এখনও ফেরানো হয়নি কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে।
 
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাতের জেরে সরে যেতে হয়েছে তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকেও। কে হরিরাজনকে তিন মাসের মধ্যে তিনবার বদলি করা হয়।
 
এইভাবে কখনও সরকার, কখনও সরকার ঘনিষ্ট কোনও অফিসার বা রাজনৈতিক দলের কুনজরে পড়ে রাজ্য ছেড়েছেন বেশ কয়েকজন দক্ষ অফিসার। এঁদে্র মধ্যে অন্যতম বিডি শর্মা। বর্তমানে রয়েছেন বিএসফএ।
কূলদীপ সিং।  বর্তমানে রয়েছে এসএসবিতে। জুলফিকার হাসান গিয়েছেন সিআরপিতে।
 
সিভি মুরলীধর। রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর তাঁকে নিয়ে আসা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই বিএসএফ থেকে নিয়ে তাকে অগুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হয়।
 
রাজ্য ছাড়তে চেয়ে  আবেদনও জানিয়েছেন অনেকে। যাঁর সাম্প্রতিকতম নজির সিআইডির এডিজি শিবাজি ঘোষ। তার আগে এই তালিকায় নাম তুলেছেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার রঞ্জিত পচনন্দা। দক্ষতা প্রমাণ করেও সরতে হয়েছে অনেককে। সরকারের মন রাখতে না পারাতেও তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেককে। পরিস্থিতির চাপে  কেউ আবার নিজেকে  সরিয়ে নিয়েছেন।  এধরনের আমলারা কর্মরত অবস্থায় মুখ খুলতে চান না। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই।

.