অত্যন্ত লোভী মহিলা, ইন্দ্রাণী খুন করতেই পারে, জানালেন সিদ্ধার্থ দাস

"ইন্দ্রাণী অত্যন্ত লোভী মহিলা, খুন তিনি করতেই পারেন। আমার টাকার অভাব ছিল তাই আমাকে ছেড়ে যান ইন্দ্রাণী," মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এই কথা জানালেন শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখার্জির প্রাক্তন প্রেমিক সিদ্ধার্থ দাস। শিনার বাবাও তিনি।

Updated By: Sep 1, 2015, 11:26 AM IST
অত্যন্ত লোভী মহিলা, ইন্দ্রাণী খুন করতেই পারে, জানালেন সিদ্ধার্থ দাস

ওয়েব ডেস্ক: "ইন্দ্রাণী অত্যন্ত লোভী মহিলা, খুন তিনি করতেই পারেন। আমার টাকার অভাব ছিল তাই আমাকে ছেড়ে যান ইন্দ্রাণী," মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এই কথা জানালেন শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখার্জির প্রাক্তন প্রেমিক সিদ্ধার্থ দাস। শিনার বাবাও তিনি।

খোঁজ মিলল এই শহরেই। দমদমের দুর্গানগরে। সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, ইন্দ্রাণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি। ইন্দ্রাণীর গুয়াহাটির বাড়িতে তাঁরা লিভ-ইন করতেন। সেখানেই শিনা ও মিখাইলের জন্ম। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় শিনার, মিখাইলের জন্ম ১৯৮৮ সালে। যদিও, শিনার বার্থ সার্টিফিকেটে তার জন্ম ১৯৮৯ সালে বলে উল্লেখ রয়েছে। সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, দুই সন্তানের জন্মের কিছুদিন পর ১৯৮৯ সালে ইন্দ্রাণী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। দুই সন্তানের দায়িত্ব মা দুর্গারানি দাসের হাতে তুলে দিতে ইন্দ্রাণী যে আদালতনামায় সই করেছিলেন সেখানেও তিনি জানিয়েছিলেন ১৯৮৯ সালের পর থেকে তার সঙ্গে সিদ্ধার্থের কোনও সম্পর্ক ছিল না।

এরপর কাজের সূত্রে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। বিয়েও করেন। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে এখন দমদমে থাকেন সিদ্ধার্থ। বেসরকারি সংস্থায় অল্প টাকার চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শিলংয়ে থাকার সময় ইন্দ্রাণীর আগেই তাঁর সঙ্গে বর্তমান স্ত্রীর আলাপ হয়। সিদ্ধার্থর দাবি, কাগজ পড়েই তিনি শিনার মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। শিনা-মিখাইল-ইন্দ্রাণী কারও সঙ্গেই তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিল না। শিনা খুনে মিসিং লিঙ্কের হদিশ পেতে সিদ্ধার্থর সঙ্গে কথা বলতে চায় পুলিস। তাঁর খোঁজে গতকালই কলকাতায় এসেছে মুম্বই পুলিসের একটি দল।

অন্যদিকে, সিদ্ধার্থ দাসের চব্বিশ ঘণ্টাকে বললেন, স্বামী তাঁকে কখনও কিছু বলেননি। তিনিও স্বামীর অতীত জানতে চান না।

 

.