পছন্দ নয়! বিয়ের ২১ বছর পর পুত্রবধূকে পুড়িয়ে খুন শাশুড়ি-ননদের
বড়দিনের সন্ধ্যায় চরম পরিণতি ঘটে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পুত্রবধূ পছন্দ না হওয়ায় বিয়ের ২১ বছর পর গায়ে আগুন লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রিজেন্ট পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শাশুড়ি দুর্গা দাস, ননদ ডলি বারিক ও নন্দাই ঝোলা বারিককে। মৃতার নাম পিঙ্কি দাস।
আরও পড়ুন, 'হয় শিল্প, নয় জমি', চাষিদের বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত গীতবিতান সিটি চত্বর
পেশায় ব্যবসায়ী গোবিন্দ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পিঙ্কি দাসের । বিয়ের আগে থেকেই দুজনের মধ্যে আলাপ পরিচয় ছিল। কিন্তু দুজনের সম্পর্ক আপত্তি ছিল গোবিন্দবাবুর বাড়ির লোকের। বিয়েতে মত ছিল না তাদের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পিঙ্কির উপর অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পিঙ্কি দেবীর একটি মেয়েও হয়। কিন্তু তারপরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।
আরও পড়ুন, কারখানার ভিতর যুবকের রহস্যমৃত্যু, মায়ের আচরণ নিয়ে সন্দেহ
শেষমেশ বড়দিনের সন্ধ্যায় চরম পরিণতি ঘটে। ঘরে একা ছিলেন পিঙ্কি দেবী। গোবিন্দবাবু অন্য ঘরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মেয়ে বাইরে বেরিয়ে ছিল। কথা ছিল, স্বামী-স্ত্রী মিলে বিকালে একসঙ্গে বেড়াতে বেরবেন। অভিযোগ, সেইসময়ই ঘরে ঢুকে পিঙ্কি দেবীকে জাপটে ধরে শাশুড়ি দুর্গা দাস। তারপর ননদ ও নন্দাই মিলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন স্বামীও।
আরও পড়ুন, এক মাস ধরে পরিকল্পনা, দোকান হাতাতেই খুন গণেশ কুণ্ডু?
গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় পিঙ্কি দেবীর। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি লেগেছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার দুদিন আগেই ধৃতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পিঙ্কিদেবী। তার আগেও একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।