খাস কলকাতায় পুকুর চুরি, খবর পেয়ে তত্পর মেয়র
খাস কলকাতায় পুকুর চুরি। বন্ডেলগেট ফ্লাইওভারের পাশে জলা জমি ভরাট করে তৈরি হচ্ছে বহুতল। বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়াই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তত্পর হন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে আপাতত বন্ধ নির্মাণ। কিন্তু শহরের বুকে ব্যস্ত এলাকায় জমি ভরাট করে নির্মাণকাজ হয় কী করে?
ওয়েব ডেস্ক : খাস কলকাতায় পুকুর চুরি। বন্ডেলগেট ফ্লাইওভারের পাশে জলা জমি ভরাট করে তৈরি হচ্ছে বহুতল। বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়াই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তত্পর হন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে আপাতত বন্ধ নির্মাণ। কিন্তু শহরের বুকে ব্যস্ত এলাকায় জমি ভরাট করে নির্মাণকাজ হয় কী করে?
বন্ডেল রোড ফ্লাইওভার। ভিড়ে ঠাসা জমজমাট, ব্যস্ত রাস্তা। রাস্তার ধারে কুড়ি কাঠা জমি। কলকাতা পুরসভায় জলাজমি হিসেবেই নথিভূক্ত। আর সেখানেই জমি ভরাট করে রমরমিয়ে চলছে বহুতলের নির্মাণ। জমি ঘিরে বিশাল পাঁচিল। গেটে, সাইনবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে নির্মাণ সংস্থার নাম, ঠিকানা। বিজ্ঞাপনে দাবি, ফ্ল্যাটের বুকিং চলছে। কিন্তু সংস্থার কারো সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেননি আমাদের প্রতিনিধি। হয় মোবাইল সুইচড অফ, নয়তো তাঁরা এনিয়ে কোনও কথাই বলতে চাননি। অথচ নির্মাণ নিয়ে আয়োজনের ত্রুটি নেই। চত্বর জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো। জমিতে বহিরাগতদের আনাগোনার ওপর রীতিমত নজরদারির ব্যবস্থা।
২৩২ নম্বর পিকনিক গার্ডেনের এই জমিটি কলকাতা পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে। কয়েকমাস আগে রোশিয়া কনস্ট্রাকশন নামে সংস্থা সেখানে নির্মাণ শুরু করে। কোনও বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়াই শুরু হয় বহুতল নির্মাণের কাজ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। জলাজমিতে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে কসবা থানায় FIR-ও দায়ের করা হয়। বিতর্কিত জমিতে পুলিস মোতায়েন হয়েছে।
নিয়ম ভেঙে এত বিশাল কর্মযজ্ঞ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এতদিন নিষ্ক্রিয় ছিল স্থানীয় প্রশাসন। কাদের মদতে কাজ চলছিল? তা নিয়ে মুখে কুলুপ বাসিন্দাদের। স্থানীয় স্তরে গাফলতির কথা মানছেন খোদ কাউন্সিলরও।