আসলে এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দেশ চালাচ্ছেন, হায়দরাবাদ পুলিসের বিরোধিতায় সেলিম
আইনের শাসন না থাকলে প্রান্তিক ও সংখ্যালঘুরাই যে বিপদে পড়বেন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সেলিম।
মৌমিতা চক্রবর্তী: হায়দরাবাদে পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণ ও নির্মমভাবে খুনের ঘটনার সমালোচনায় সরব হল সিপিএম। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির প্রতিক্রিয়া, মহিলাদের নিরাপত্তায় আইন হাতে তুলে নেওয়া সমাধান হতে পারে না। কলকাতায় জি ২৪ ঘণ্টাকে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম জানান, এনকাউন্টার কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। ভদ্র, সভ্য নাগরিক সভ্যতায় আইনরক্ষার জন্য পুলিস ও বিচারব্যবস্থা রয়েছে।
প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে শুক্রবার মহম্মদ সেলিম বলেন,''এটা কখনই সমর্থন করা যায় না। কোনও ভদ্র, সভ্য ও নাগরিক সভ্যতায় আইনের শাসনের জন্য পুলিস ও বিচারব্যবস্থা রয়েছে।'' নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে সেলিমের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, আসলে এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দেশ চালাচ্ছেন। মানুষের মধ্যে ধর্ষণ নিয়ে ঘৃণা রয়েছে। বিচার ব্যবস্থা ধর্ষকদের শাস্তি দিতে পারছে না। এফআইআর নেওয়া হয় না। বিচারে দেরি হচ্ছে। মানুষকে এই অবস্থায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ভোপালে জেল থেকে পালাচ্ছিল বলে এনকাউন্টার করে দিল। পরে কোনও গল্প বেরোল?''
আইনের শাসন না থাকলে প্রান্তিক ও সংখ্যালঘুরাই যে বিপদে পড়বেন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সেলিম। সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্যর কথায়, ''ক্ষমতাসীন ও বিত্তশালী মানুষ শাস্তি পাবে না। সংখ্যালঘু, আদিবাসী ও মহিলারা আইনের শাসন না থাকলে বিপদে পড়বেন। গোটা দেশ নিরাপত্তাহীনতায় থাকলে সবচেয়ে নিরাপদ থাকবেন না আদিবাসী, শিশু ও মহিলারা।'' বিজেপির নাম না নিয়ে সেলিম বলেন,''ধর্মের নামে জিগির তুলে কুসংস্কারচ্ছন্ন মন তৈরি করা হচ্ছে। মেয়েদের পণ্যতে পরিণত করেছে। এটাই আসল সমস্যা।''
এদিন মেয়ো রোডে সংহতি দিবসের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনকাউন্টারের বিরোধিতা করেছেন। তৃণমূল নেত্রীর কথায়,"হায়দরাবাদ, উন্নাওয়ের ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। দ্রুত চার্জশিট দিয়েই অভিযুক্তদের শাস্তি হওয়া উচিত।"
আরও পড়ুন- পিঠ বাঁচাতে ও সস্তার জনপ্রিয়তা কুড়োতেই এনকাউন্টার তেলেঙ্গানা পুলিসের: কৌশিক