Fake Passport: ভেরিফিকেশনে নেওয়া হত ৩০ হাজার, পাসপোর্ট জালিয়াতিতে ধৃত প্রাক্তন এসআইয়ের সঙ্গে লাখ লাখ টাকা লেনদেন

Fake Passport: পাসপোর্টের আবেদনে জাল শংসাপত্র জমা দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হুগলি থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস  

Updated By: Jan 5, 2025, 06:31 PM IST
Fake Passport: ভেরিফিকেশনে নেওয়া হত ৩০ হাজার, পাসপোর্ট জালিয়াতিতে ধৃত প্রাক্তন এসআইয়ের সঙ্গে লাখ লাখ টাকা লেনদেন

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্য়কর তথ্য। ধৃত সমরেশে বিশ্বাসের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল ধৃত প্রাক্তন এসআই আব্দুল হাইয়ের। সমরেশের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ লক্ষেরও বেশি টাকা ট্রান্সফার করা হয় আব্দুলের অ্যাকাউন্টে। প্রতিটি ভেরিফিকেশনের জন্য ৩০ হজার টাকা নিতেন আব্দুল। এমনটাই অভিযোগ উঠছে।

আরও পড়ুন-ভেরিফিকেশনেই কারসাজি! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার পুলিসের প্রাক্তন এসআই

পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে প্রাক্তন এসআই আব্দুল হাইকে গ্রেফতার করার পর আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। দেখা যাচ্ছে ধৃত সমরেশ বিশ্বাসের সঙ্গে আব্দুল হাইয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। দফায় দফায় সমরেশের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ লাখ টাকা গিয়েছে হাইয়ের অ্যাকাউন্টে।

শুধুমাত্র আব্দুল হাই নন, জাল পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে আসছে ৫৩ জনের পাসপোর্টের পুলিস ভেরিফিকেশন করেছিলেন আব্দুল হাই। সেইসব পাসপোর্টে জাল নথি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। ওইসব জাল পাসপোর্টধারী বর্তমানে কোথায় রয়েছেন তা জানতে এফআরআরওকে চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুলিস।

এদিকে, এক পুলিস কর্মীর মোবাইল ফোন ঘেঁটে একাধিক ব্যাক্তির নাম উঠে এসেছে যারা এই পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।  সিট-এর তদন্তকারীরা সেইসব ব্যক্তিদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, পাসপোর্টের আবেদনে জাল শংসাপত্র জমা দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হুগলি থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতদের নাম গণেশ চক্রবর্তী ও অনির্বাণ সামন্ত। হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার নন্দা গ্রামে প্রথমজনের বাড়ি। সিঙ্গুর থানা এলাকাতেই অপরজনের বাড়ি। শুক্রবার রাতে সিঙ্গুর থানার পুলিসকে নিয়ে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে জালিয়াতিতে ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল, সিমকার্ড ও একটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়। চক্রে আরও কয়েকজন জড়িত বলে পুলিসের সন্দেহ। চক্রের জাল বহু দূর বিস্তৃত বলে পুলিসের অনুমান। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের সাতদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। দু’জনকে পাঁচদিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)


 

.