নারী নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে সুশান্ত দত্তগুপ্তর বিরুদ্ধে, পদ্মশ্রী সম্মানের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি রাজ্য মহিলা কমিশনের
বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে যাতে পদ্মশ্রী সম্মান না দেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল রাজ্য মহিলা কমিশন। চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কমিশনের অভিযোগ, সুশান্ত দত্তগুপ্তের বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ার ঘোর বিরোধী রাজ্য মহিলা কমিশন। সম্প্রতি পদ্মশ্রী সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছে তাঁর নাম।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে যাতে পদ্মশ্রী সম্মান না দেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল রাজ্য মহিলা কমিশন। চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কমিশনের অভিযোগ, সুশান্ত দত্তগুপ্তের বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ার ঘোর বিরোধী রাজ্য মহিলা কমিশন। সম্প্রতি পদ্মশ্রী সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছে তাঁর নাম।
সুশান্ত দত্তগুপ্ত যখন সত্যেন বোস ইনস্টিটিউটে কর্মরত ছিলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলা সহকর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। ২৯ জানুয়ারি ২০০৪ সালে ওই মহিলা সুশান্ত দত্তগুপ্তর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ করেন। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি মহিলা রাজ্য মহিলা কমিশনে সুশান্ত দত্ত গুপ্তর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ জানান। ২৫ ফেব্রুয়ারি সুশান্ত দত্তগুপ্ত রাজ্য মহিলা কমিশনের কাছে দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে। ১৬ সেপ্টেম্বর রাজ্য মহিলা কমিশন তত্কালীন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিব্বলকে বিষয়টি দেখার জন্য চিঠি দেয়। গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য ২০০৫ সালে কপিল সিব্বল একটি কমিটি গঠন করেন। ভারতী রায়ের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠিত হয়। পরে সত্যেন বোস ইনস্টিটিউট থেকে সুশান্ত দত্তগুপ্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ সালে ৬৪ বছর বয়সে সুশান্ত দত্তগুপ্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দায়িত্ব নেন। সেখানেও তাঁর নানা কাজ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিশ্বভারতীর নিয়ম অনুযায়ী, ৬৫ বছর বয়সের পর আর উপাচার্য পদে থাকা যায় না। অথচ সুশান্ত দত্ত গুপ্ত উপাচার্য পদে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য নিজেই রাষ্ট্রপতির দফতরে চিঠি পাঠান বলে অভিযোগ। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষাবিদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ থাকায়, তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ার ঘোর বিরোধী রাজ্য মহিলা কমিশন। কেন্দ্রের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টি অবগত করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনকেও।