Howrah Money Recovery: শিবপুরকাণ্ডে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন, জালিয়াতি করতে অ্যাপটি নিয়ন্ত্রণ হতো নাইজিরিয়া থেকে!
তদন্তকারীদের বক্তব্য হল IX global নামের ওই অ্যাপের মাধ্যমে বিশাল জালিয়াতি চলছিল। আপে ডলারে পেমেন্ট নেওয়া হতো। অ্যাপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হলেও তা নিয়ন্ত্রণ হতো নাইজিরিয়া থেকে
পিয়ালি মিত্র: হাওড়ার শিবপুরে টাকা উদ্ধারকাণ্ডে আরও ১৭টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেল পুলিস। পাওয়া গিয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ। পুলিসের অনুমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অ্য়াপের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হতো। ওই অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করা হতো নাইজিরিয়া থেকে। অ্যাপের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে গুগলকে চিঠি লিখল কলকাতা পুলিস। পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে যে অ্যাপের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হতো সেটি তৈরি করেছেন এক মার্কিন নাগরিক। কিন্তু সেটি বর্তমানে নাইজিরিয়ায় বসে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে ওই অ্যাপের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই। ভারতে ওই অ্যাপটি নিয়ন্ত্রণ করতো শৈলেশ পান্ডেরা।
আরও পড়ুন-আইসিসি-তে যাচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? বড় মন্তব্য করলেন তাঁর প্রথম অধিনায়ক আজহার
মামলার তদন্ত নেমে পুলিস আরও ১৭টি অ্য়াকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। ওই ১৭টি অ্যাকাউন্টে আরও ৫৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। সবেমিলিয়ে মোট ৩৪টি অ্যাকাউন্টে মোট ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিসের হানায় নগদ ৮ কোটি টাকা ও ১৪ লাখ টাকার গহনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
নতুন যে ১৭টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল তার ঠিকানা ঝড়খণ্ডের। প্রতারিতদের কাছে নেপাল থেকে ফোন আসতো বলে জানা যাচ্ছে। শৈলেশ পান্ডে ওই অ্যাপটি এখানে চালাতো। তার কাজ ছিল বিভিন্ন ভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা। ওইসব অ্যাকাউন্টে যে টাকা জমা পড়ত তা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসা। ওই অ্যপটি সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগলকে চিঠি লিখেছে কলকাতা পুলিস। পাশাপাশি এনিয়ে কেন্দ্রের একটি বিশেষ সংস্থাকে(cert.in) চিঠি লেখা হয়েছে। ওই অ্যাপটি ডাউন করার অনুরোধ করা হয়েছে।
এখনওপর্যন্ত তদন্তকারীদের বক্তব্য হল IX global নামের ওই অ্যাপের মাধ্যমে বিশাল জালিয়াতি চলছিল। আপে ডলারে পেমেন্ট নেওয়া হতো। শৈলেশ পান্ডে বা তার ভাইদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে জানা যাচ্ছে, পুলিসের রেইডের আগে আরও টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালায় পাণ্ডে পরিবার। শনিবার রাতে পুলিস শিবপুরের ফ্ল্যাটে পৌঁছয়। তার কয়েক মিনিট আগেই সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে দুটি ব্যাগ নিয়ে শৈলেশের মা ও দুই ভাই যাচ্ছে একটি গাড়িতে। হেঁটে বেরিয়ে যান শৈলেশ।