অষ্টমীতে ম্যাডক্স স্কোয়ারে 'হোক কলরব'
পুজোর মধ্যে কলরব থামাতে নারাজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির দাবিতে এই কয়েকদিনও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। সেই উদ্দেশ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অনান্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ও অনান্য গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ অষ্টমীর বিকেল থেকে ম্যাডক্সস্কোয়ারে জমায়েতের ডাক দিয়েছেন। ' হোক কলরব' এই নামেই জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: পুজোর মধ্যে কলরব থামাতে নারাজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির দাবিতে এই কয়েকদিনও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। সেই উদ্দেশ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অনান্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ও অনান্য গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ অষ্টমীর বিকেল থেকে ম্যাডক্সস্কোয়ারে জমায়েতের ডাক দিয়েছেন। ' হোক কলরব' এই নামেই জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭সেপ্টেম্বর নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘেরাওমুক্ত হতে ক্যাম্পাসে পুলিস ডাকেন উপাচার্য। ঘেরাও তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন ৩৩ জন ছাত্র। পুলিস লাঠি ও টিয়ার গ্যাস নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকে এবং ঘেরাও তুলতে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। রাত দুটো নাগাদ ঘেরাওমুক্ত হন উপাচার্য। তিরিশজনকে আটক করেছে পুলিস। ঘটনার প্রতিবাদে যাদবপুর থানা ঘেরাও ছাত্রছাত্রীরা। ছবি তুলতে গেলে বাধা পান সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি ছিল ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে সেই কমিটিতে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ, সমাজকর্মী এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধি রাখতে হবে। তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ছাত্রীছাত্রীরা।
এই প্রতিবাদ আন্দোলন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠে থেমে থাকেনি। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশাসনিক নিগ্রহের প্রতিবাদে সামিল হন সারা দেশের ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ। প্রবাসেও বিভিন্ন জায়গায় চলে প্রতিবাদ। গত ২০ তারিখ যাদবপুরে পুলিসি নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতার রাস্তায় নামেন ৭০,০০০ মানুষ।