যাদবপুরের CAA বিরোধী ছাত্র আপাতত ভারতেই থাকবেন, জানাল হাইকোর্ট
১৮ মার্চ চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুরের পোলিশ ছাত্র কামিল শেদচিস্কি আপাতত ভারতেই থাকবেন। তাঁকে দেশছাড়ার নির্দেশিকায় আপাতত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১৮ মার্চ চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি।
আদালতে কেন্দ্রের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সওয়াল করেন, কামিল শেদচিস্কি ভালো ছাত্র, সন্দেহ নেই। কিন্তু তার মানে ভারতের সার্বভৌমত্বের উপর প্রশ্ন তুলতে পারে না। এমন কাজ সমর্থন যোগ্য নয়। দেশের নাগরিক নয়, তাই বাক স্বাধীনতার অধিকার এক্ষেত্রে খাটে না। সরকার বিরোধী সভায় অংশ নিয়ে ভিসাবিধি লঙ্ঘন করেছেন ওই ছাত্র। তিনি আরও জানান, ভিসার নিয়ম ৩(২) অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিক সরকার বিরোধী কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। স্বাভাবিকভাবে দেশের সংসদে আইন পাস হলে তার বিরোধিতাও কোন বিদেশি করতে পারবেন না।
মামলাকারীর আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র পাল্টা বলেন, ভারতের সংবিধানে বৈষম্য নেই। মৌলিক অধিকারের ১৪,২০,২১,২২ সব ধারাই এক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যিনি নাগরিক নন, তাঁর ক্ষেত্রেও। পোল্যান্ডের নাগরিক ওই ছাত্র সভায় থাকলেও বিপ্লবী মানসিকতা দেখাননি।
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ আমলে Foreigners Act তৈরি হয়েছিল। সেটা কি আদৌ এই যুগে প্রযোজ্য?
জয়ন্তবাবু জবাব দেন,'সময়ের সঙ্গে আইনের বদল হয়। সমাজকে দেখেই তৈরি হয় আইন। তাই এই আইনের বদল সময়ের দাবি। ফলে নোটিস ছাড়া যখন তাঁকে দেশ ছাড়তে বলা বৈষম্যের প্রাশ।
উভয়পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। আগামী ১৮ মার্চ চূড়ান্ত রায় দেবেন তিনি। ততদিন কামিল শেদচিস্কির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
বলে রাখি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্র কামিল শেদচিস্কি। গত ১৯ ডিসেম্বর রামলীলা ময়দানে সিএএ বিরোধী সভায় যোগ দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি কথা বলেছিলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন (FRRO) অফিসে। কামিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। তাঁর তোলা ছবিও জমা নেওয়া হয়। এরপরই ধরানো হয় দেশ ছাড়া নোটিস। বলা হয়, ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে ভারত ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে। তারপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কামিল।
আরও পড়ুন- Yes Bank থেকে আগামী ১ মাসে টাকা তোলার পরিমাণ ৫০ হাজার বেঁধে দিল সরকার