‘কারোর মন আপনি কীভাবে পরিবর্তন করবেন?’ বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট নিয়ে বিজেপির মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

বিচারপতি বিজেপিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আপনাদের কথায় যে আর্জেন্সি রয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।” এই মামলাটি ফের রেগুলার বেঞ্চেই পাঠিয়ে দেন বিচারপতি শেখর ববি শরাফ।

Updated By: Sep 5, 2019, 04:56 PM IST
‘কারোর মন আপনি কীভাবে পরিবর্তন করবেন?’ বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট নিয়ে বিজেপির মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

 নিজস্ব প্রতিবেদন:    বনগাঁর আজকের আস্থা ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করা নিয়ে বিজেপির আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলাটি ওঠে।

 

শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিজেপিকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা কেন জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি চান, তা প্রমাণ করুন। এই মামলার কেন দ্রুত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে?” বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়, “আজ বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট। কিন্তু তা বৈধ নয়।” বিচারপতি আবারও প্রশ্ন করেন, “আজ যে আস্থা ভোট হওয়ার কথা, তা আপনারা ৩০ তারিখই জানতে পেরে গিয়েছিলেন। তাহলে কেন ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। আগেই আদালতে আসতে পারতেন।”

বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়, “আমরা গতকাল অর্থাত্ ৪ সেপ্টেম্বরই নোটিস পেয়েছি স্পিড পোস্টে।” এরপরই বিজেপির তরফ থেকে আর্জি করা হয়, এই আস্থা ভোট অবৈধ। কারণ যাঁরা চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন, তাঁরা আজ ফের তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাহলে এই ভোট কীভাবে বৈধ হয়?

দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন একজন তৃণমূল সাংসদই, নাম ফাঁস করলেন দিলীপ

বিচারপতি তখন বলেন, “কারোর মন কীভাবে আপনি পরিবর্তন করতে পারেন! তার ওপর আইনের কোনও হাত নেই।” বিচারপতি বলেন, “অনাস্থা বৈঠক একটি লিগাল ইস্যু। তা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। সেটা এখন বন্ধ করি কীভাবে? ” বিচারপতি বিজেপিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আপনাদের কথায় যে আর্জেন্সি রয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।” এই মামলাটি ফের রেগুলার বেঞ্চেই পাঠিয়ে দেন বিচারপতি শেখর ববি শরাফ।

প্রসঙ্গত, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক, এদিন জেলাশাসকের দফতরে বনগাঁ পুরসভার নতুন করে আস্থা ভোট হয়। পুরনো আস্থা ভোটটি খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি। এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই পাল্লা ভারি ছিল তৃণমূলের।

২২ আসনের পুরসভায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ ১৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন তৃণমূলের৷ তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছেন এক কংগ্রেস কাউন্সিলরও৷ আস্থা ভোটে নেই একজন সিপিআইএম কাউন্সির। এদিন আস্থা ভোটে বিজেপি কাউন্সিলররা উপস্থিত না হওয়ায় ১৪-০ ভোটেই জয় হয় তৃণমূলের।

.