ভাসছে কলকাতা উত্তর থেকে দক্ষিণ, জল থৈ থৈ শহরকে জল মুক্ত করতে মেয়রের উপর ভরসা নেই মুখ্যমন্ত্রীর, পরিস্থিতি সামাল দিতে ববিকে নির্দেশ মমতার

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আর আস্থা রাখতে পারছেন না, তা আজ আরও একবার পরিষ্কার হল। কলকাতা যখন জলে ভাসছে, শিলিগুড়ি থেকে এল মুখ্যমন্ত্রীর ফোন। ফোন এল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে। নির্দেশ, মেয়রকে নয় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে।

Updated By: Oct 26, 2013, 05:58 PM IST

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আর আস্থা রাখতে পারছেন না, তা আজ আরও একবার পরিষ্কার হল। কলকাতা যখন জলে ভাসছে, শিলিগুড়ি থেকে এল মুখ্যমন্ত্রীর ফোন। ফোন এল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে। নির্দেশ, মেয়রকে নয় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে।
দুপুর সাড়ে বারোটা জল থৈ থৈ শহর।
 
শিলিগুড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন। ফোন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। তড়িঘড়ি কলকাতা পুরসভায় পৌঁছলেন ফিরহাদ। দায়িত্ব নিলেন কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলরুমের। সঙ্গে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। 
 
শুক্রবার রাত থেকে এক মুহূর্তের জন্যও থামেনি বৃষ্টি। যার জেরে ভোর থেকেই জলমগ্ন হতে শুরু করে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত। টিকি নড়েনি পুরসভার। সাড়ে এগারোটার পর পুরসভায় আসেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। 
 
মেয়রের ওপর ভরসা রাখতে না পেরে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। অবস্থা মোকাবিলার দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি হয় চার জনের টিম। নেতা ফিরহাদ হাকিম, সঙ্গে তিন মেয়র পারিষদ সদস্য অতীন ঘোষ, মলয় মজুমদার, এবং দেবাশিষ কুমার।
 
একজনকে কন্ট্রোল রুমে রেখে বাকি তিন জন জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে বের হন। তাঁরাই কোথায় কোন পাম্পিং স্টেশন কতখানি কাজ করছে, তা দেখতে জায়গায় জায়গায় চলে যান। সিদ্ধান্ত হয় রাত দুটো পর্যন্ত রিলে সিস্টেমে একজন মেয়র পারিষদ সদস্য পুরসভার কন্ট্রোল রুমে থাকবেন।
 
জল থৈ থৈ শহরে জল নামানোর পরিকল্পনায় প্রায় কোথাও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ ভূমিকা ছিল না।
 

.