Haridevpur Murder: খুনের পরদিনই অয়নের খোঁজে তার বাড়িতে যায় প্রীতি! হরিদেবপুরকাণ্ডে ঘটনার পুননির্মাণ পুলিসের
আরও চাঞ্চল্যকর বয়ান উঠে এসেছে অয়নের বাবার বয়ানে। তাঁর দাবি প্রীতি ও তার মা-দুজনের সঙ্গেই অয়নের সম্পর্ক ছিল। এটা জানতে পেরে গিয়েছিল প্রীতির বাবা
পিয়ালি মিত্র: হরিদেবপুরে অয়ন মণ্ডল খুনের তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন হয়েছে অয়ন। পাশাপাশি খুনের পরদিন অর্থাত্ একাদশীর দিন অয়নের বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ করে তার বান্ধবী প্রীতি জানা। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিসের জালে অয়নের বান্ধবী প্রীতি জানা ও তার মা, ভাইয়ের দুই বন্ধু, পণ্যবাহী গাড়ির চালক। বান্ধবীর ভাই ও গাড়ির চালককে নিয়ে মগরাহাটে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করে পুলিস। অয়নের বান্ধবীর ভাই নাবালক। তাই তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকী ৬ জনকে তোলা হয়েছে আলিপুর আদালতে।
আরও পড়ুন-পুজোয় বৃষ্টি ভোগালেও কার্নিভালে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
এখনওপর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে তা হল, অয়নকে খুন করে প্রীতির ভাই। সেক্ষেত্রে প্রীতি ও তার মায়ের প্ররোচনা ছিল বলে মনে করছে পুলিস। খুনের পর অয়নের দেহ বাড়িতেই পড়েছিল। তারপর সে তার ২ বন্ধুকে ফোন করে ডাকে। তিনজন মিলে একটি প্লাস্টিকে দেহটিকে মুড়ে ফেলে। এরপর একটি ছোট লরিকে ডেকে ওই মৃতদেহ তোলে। সেটিকে মগরার এক নির্জন রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনা আসলে কীভাবে হয়েছিল তা জানতে ধৃতদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিস।
এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি ত্রিকোণ প্রেমের তত্ব সামনে আসছে। সূত্রের খবর, অয়ন মণ্ডলের সঙ্গে তার বান্ধীর যেমন একটা সম্পর্ক ছিল তেমনি তার মায়েরও একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এমনকি এমন কথাও উঠে আসছে যে অয়ন তার সঙ্গে প্রীতি ও তার মায়ের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি নাকি দেখিয়ে বেড়াত। তার ফলে অয়নের উপরে গোটা পরিবারের একটি আক্রোশ তৈরি হয়েছিল। দশমীর রাতে অয়ন মণ্ডল রাতে প্রীতির বাড়িতে পৌঁছয়। সেইসময় অয়ন জানতে পারে বাড়ি প্রীতি নেই। সে তার অন্য বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছে। এনিয়েই তার সঙ্গে বচসা বেধে যায় প্রীতির বাড়ির লোকজনের। এর মধ্যেই প্রীতি ঘরে পৌঁছে যায় এবং সে তার মায়ের প্ররোচনায় প্রীতির ভাই অয়নের মাথায় আঘাত করে। এখন এরকম তত্ব আদৌ সঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখতে চায় পুলিস।
অন্যদিকে, আরও একটি তথ্য উঠে আসছে। সেটি হল খুনের পরদিন অয়নের বাড়িতে আসে তার বান্ধবী প্রীতি। সেখানে গিয়ে সে অয়নের মাকে বলে অয়নের খোঁজ পাচ্ছে না। অয়নের মা বলেন, একাদশীর দিন ও আমাদের বাড়িতে এসেছিল। অষ্টমীর দিন ওরা দুজনের বেরিয়েছিল। তার আগে মাঝেমধ্যে বাড়িতেও আসতো। জুলাই মাসে অয়নের জন্মদিনেও এসেছিল।
আরও চাঞ্চল্যকর বয়ান উঠে এসেছে অয়নের বাবার বয়ানে। তাঁর দাবি প্রীতি ও তার মা-দুজনের সঙ্গেই অয়নের সম্পর্ক ছিল। এটা জানতে পেরে গিয়েছিল প্রীতির বাবা। অয়নকে মেরে দিলে সমস্যা মিটে যাবে। তাই অয়নকে খুন করা হয়েছে।