বাবা-দাদা লিজ দিয়েছিল যৌন পল্লীতে, ঘরে ফেরার লড়াই ধনিয়াখালি মেয়েটির
তখন বয়স খুব কম, হুগলির ধনিয়াখালি গ্রামের বাড়িতে নিত্য দিনের অভাব। পড়াশুনা তিন ক্লাসের গণ্ডিও পেরোয়নি। ভাল খাওয়া-পড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে মেয়েকে নিয়ে এসেছিল বাবা। একসময় সেই বাবা আর দাদার থেকেই হাতবদল মহানগরীর একযৌন পল্লীতে। ১১ লক্ষ টাকায় মেয়েকে কয়েকবছরের জন্য যৌনপল্লীতে লিজ দেয় বাবা। তারপর শৈশবেই হারিয়ে যাওয়া। ঢুকে পড়া এক অন্ধ চোরাগলির বিপন্ন জীবনে। নিজের বাবাই মেয়েকে লিজে দিয়ে দেয় মহানগরীর এক যৌনপল্লীতে। সে বড় যন্ত্রণার।
তখন বয়স খুব কম, হুগলির ধনিয়াখালি গ্রামের বাড়িতে নিত্য দিনের অভাব। পড়াশুনা তিন ক্লাসের গণ্ডিও পেরোয়নি। ভাল খাওয়া-পড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে মেয়েকে নিয়ে এসেছিল বাবা। একসময় সেই বাবা আর দাদার থেকেই হাতবদল মহানগরীর একযৌন পল্লীতে। ১১ লক্ষ টাকায় মেয়েকে কয়েকবছরের জন্য যৌনপল্লীতে লিজ দেয় বাবা। তারপর শৈশবেই হারিয়ে যাওয়া। ঢুকে পড়া এক অন্ধ চোরাগলির বিপন্ন জীবনে। নিজের বাবাই মেয়েকে লিজে দিয়ে দেয় মহানগরীর এক যৌনপল্লীতে। সে বড় যন্ত্রণার।
সোনাগাছির ঘুপচি গলি। খদ্দেরদের আনাগোনা। দেহ বিকিকিনির হাট বসে। আর সেই যন্ত্রণা কুরে কুরে খায় সদ্য এক কিশোরীকে। বাবা, দাদা, এদের ভালোবাসা আর নিরাপত্তার উষ্ণতাতেই তো কাটতে পারত বছর তেরোর ধনিয়াখালির হামিদবাটির কিশোরির। তা হয়নি। যখন সে অন্ধগলি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় মরিয়া, ফের নতুন করে জীবন শুরু করতে চাইছে, ফিরতে চাইছে বাড়িতে, তখন তার বাবার কাছ থেকেই আসছে খুনের হুমকি। ফের যৌন পল্লীতে ফিরে যাওয়ার কড়া ধমক।
বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই ক্রমশ কমে আসছিল। চারদিকে শুধুই অন্ধকার। আত্মহননের পথেই এগোচ্ছিলেন কিশোরী। সেই সময়ই এক শুভানুধ্যায়ীর হাত ধরে পালিয়ে আসা যৌন পল্লীর অন্ধগলি থেকে। শুরু হল লড়াই। জীবনের মূল স্রোতে ফেরার লড়াই।