একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, রাগেই আততায়ী খুন করে প্রতিমা মাইতিকে, আশঙ্কা পুলিসের

গিরিশপার্কে হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শ্বাসরোধ করার পর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে প্রতিমা মাইতিকে। মৃত্যুর আগে আততায়ীর সঙ্গে স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তারপরও কেন প্রতিমা মাইতিকে খুন করা হল তা নিয়ে এখনও কিছুটা ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা।

Updated By: Jun 2, 2015, 10:07 PM IST
একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, রাগেই আততায়ী খুন করে প্রতিমা মাইতিকে, আশঙ্কা পুলিসের

ওয়েব ডেস্ক: গিরিশপার্কে হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শ্বাসরোধ করার পর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে প্রতিমা মাইতিকে। মৃত্যুর আগে আততায়ীর সঙ্গে স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তারপরও কেন প্রতিমা মাইতিকে খুন করা হল তা নিয়ে এখনও কিছুটা ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা।

শ্বাসরোধ
মাথায় ভারী আঘাত
স্বেচ্ছায় যৌন সংসর্গ

গিরিশপার্কের প্রতিমা মাইতি কি আততায়ীর প্রতিহিংসার শিকার? ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এমনটাই মনে করছে পুলিস। রবিবার ভোররাতে প্রতিমা মাইতির ঘরে ঠিক কী ঘটেছিল? ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে,  মৃত্যুর আগে আততায়ীর সঙ্গে স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক করেছিলেন তিনি। বেনারসি ঘোষ স্ট্রিটের বাড়ির ঘর থেকে মিলছে তার একাধিক প্রমাণ। 

বাড়ির সামনের ঘরে প্রথমে যৌন সম্পর্কের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সরানো হয়েছিল ঘরের খাটও। কিন্তু, ওই ঘরের একটি জানলা ভাঙা থাকায় গোপনীয়তা রক্ষায় পাশের ঘরে যান তাঁরা। ঘরের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়েছিলেন প্রতিমা মাইতি। হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। দুটো পা বাঁধা ছিল খাটের দুটি পায়ার সঙ্গে। 

হাত পা বাঁধা ছিল কেন?
খুনের আগে বাঁধা না পরে?

তদন্তকারীদের অনুমান, মহিলার সম্মতিতেই তাঁর হাত-পা বেঁধেছিল আততায়ী। তবে, খুনের পর হাত পা বাঁধার সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তবে, তাঁদের সবচেয়ে ভাবাচ্ছে, খুনের মোটিভ।

যৌন সংসর্গের পরও খুন কেন? পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, এর পিছনে রয়েছে সম্পর্কের টানাপোড়েন। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে। দুই  ছেলেও পড়াশোনার জন্য ভিনরাজ্যে। 

একাকিত্ব থেকে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন প্রতিমা মাইতি। আততায়ী সম্ভবত প্রতিমার পূর্ব পরিচিত। বহু পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো মেনে নিতে পারেনি আততায়ী। সেই আক্রোশ থেকেই সম্ভবত শ্বাসরোধ খুন করা হয়েছে মহিলাকে। সম্প্রতি অভিযুক্তের জীবনযাত্রায় বদল আসছিল। দীর্ঘক্ষণ ফোনে ব্যস্ত থাকতেন তিনি। বাড়িতে আনাগোনা শুরু হয়েছিল একাধিক লোকের। ইলেট্রিক মিস্ত্রি ও গ্যাসের ডিলার পরিচয় দিয়ে তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করতেন দুজন। ওই দুজনের খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মহিলার মোবাইলের কল রেকর্ডসও।

.