কলকাতা বিমানবন্দরে করোনা আতঙ্ক, আক্রান্ত সন্দেহে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি সৌদির ফেরৎ
আপাতত বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। আজ সকালেই সৌদি আরব থেকে কলকাতা বিমান বন্দরে নামেন মিনারুল শেখ। মিনারুল মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার ভয়ে থরহরিকম্প গোটা বিশ্ব। ভারতেও একটু একটু করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার আতঙ্ক। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কলকাতা বিমানবন্দরে করোনা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে আজ। ওই ব্যক্তি সৌদি আরব থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। আজ সকালেই সৌদি আরব থেকে কলকাতা বিমান বন্দরে নামেন মিনারুল শেখ। মিনারুল মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। সৌদিআরবে সাফাই কর্মীর কাজ করতেন। থার্মাল স্ক্যানে ধরা পড়ে মিনারুলের জ্বর আছে। এরপরেই তাকে স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিমান বন্দর থেকে দ্রুতই তাকে বেলেঘাটা আইডিতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ঘুষ নিয়ে মাফিয়াকে প্রতারণায় সাহায্য, সাসপেন্ড মালদার ৪ পুলিস অফিসার
এদিকে ছবি বলছে, ঢাল-তরোয়াল ছাড়াই করোনা মোকাবিলায় নেমে পড়েছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। স্বাস্থ্যের এই বেহাল ছবিই উঠে এসেছে স্বাস্থ্য কর্মীদের পোশাকে। সৌদি থেকে আসা করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ব্যক্তিকে যাঁরা অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে এলেন তারাই সুরক্ষিত নন। নাকে সস্তার মাস্ক ,হাতে কম দামি গ্লাভস। অ্যাপ্রন ছেঁড়া। প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯। কেরালায় নতুন করে যে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ৩ জন ইতালি থেকে ফিরেছেন। এই তিনজনের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও দুজন।
অসমেও বাড়ছে করোনা আতঙ্ক। কারণ এক মার্কিন পর্যটকের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন প্রায় ১২৭ জন মানুষ। সেই ব্যক্তি চলে গিয়েছেন ভুটান। আর এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কার মেঘ দেখছে বাংলা-অসম সীমান্ত। কোচবিহারের চিকেন নেক এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারণ এখান দিয়েই যাওয়া যায় ভুটান, সিকিম ও অসমে। আপাতত বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভুটান ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ।
এসবের মাঝে, করোনা আতঙ্কের ছোঁয়া ভারতের মাংস বাজারেও। মুরগির মাংস থেকে ছড়াতে পারে করোনা সংক্রমণ। এই আতঙ্কেই মুরগি বিক্রি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। দামও পড়েছে এক ধাক্কায়। কেজি প্রতি গোটা মুরগি মিলছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। কাটা মুরগি আশি থেকে নব্বই টাকা কেজি। এক সপ্তাহেই মুরগির দাম কমেছে প্রায় পঞ্চাশ টাকা। মুরগির দাম যখন পড়তির দিকে তখন চড়চড়িয়ে বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। কেজি প্রতি খাসি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।