DA Agitation: ডিএ আন্দোলনে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার ৪৪ সরকারি কর্মচারী, আহত ৪ পুলিসকর্মী
লালবাজার সূত্রে খবর যে ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করছিলেন। আন্দোলকারীরা বিধানসভা ২ নম্বর গেটে পৌঁছে যান। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। ফলে সেই ধারা তারা লঙ্ঘন করেছেন।
পিয়ালি মিত্র: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের বিধানসভা অভিযানে প্রবল ধস্তাধস্তি। শিক্ষক নিয়োগ আন্দোলনে পুলিসের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার পুলিসের বিরুদ্ধে মারধর করা অভিযোগ উঠছে। কিন্তু পুলিসের দাবি ডিএ বিক্ষোভকারীদের মারে গুরুতর আহত হয়েছেন ৪ পুলিস কর্মী। পাল্টায় সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। অভিযাগ, পুলিসের কাজে বাধ দিয়েছেন, পুলিসকে মারধর করেছেন ওইসব বিক্ষোভকারী সরকারি কর্মচারী।
আরও পড়ুন-চুরির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা, আপাতত স্বস্তি নিশীথের
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানার অতিরিক্ত ওসি-সহ ৪ পুলিস কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, ধৃত সরকারি কর্মচারীদের মুক্তির দাবিতে রানী রাসমনি রোডে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। পুলিস তাদের আশ্বাস দেন ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু লালবাজার সূত্রে খবর যে ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করছিলেন। আন্দোলকারীরা বিধানসভা ২ নম্বর গেটে পৌঁছে যান। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। ফলে সেই ধারা তারা লঙ্ঘন করেছেন। শুধু তাই নয়, পুলিস কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, তাদের মারধর করার অভিযোগে ওই ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, আন্দোলনকারীদের দাবি, ধৃত ৪৪ জনকে নিঃশর্তভাবে ছেড়ে দিতে হবে। তা নাহলে পরবর্তীতে কড়া সিদ্ধান্ত নেবেন। পুলিস তাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছে। মারধর করেছে। সন্ধে থেকেই দেখা যায় লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপের সামনে কোঅর্ডিনেশন কমিটির লোকজনের ভিড় বাড়ছে।
উল্লেখ্য, পাওনা ডিএ-র দাবি দাবি আজ বিধানসভা অভিযানের ডাক দেয় বেশ কয়েকটি সরকারি কর্মচারী সংগঠন। ধর্মতলা থেকে বিধানসভার দিকে এগোতে গেলে তাদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। সরকারি কর্মচারীদের দাবি, ৩৫ শতাংশ ডিএ এখন তাদের পাওনা রয়েছে। বহুদিন ধরেই তা ঝুলিয়ে রেখেছে সরকার। এবার তা দিতে হবে। এনিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিকে সরকার বলছে কোনও ডিএ বকেয়া নেই। বিক্ষোভকারী সরকার কর্মচারীদের ঠেকাতে ধর্মতলা থেকে একাধিক ব্যারিকেড খাড়া করা হয়। কয়েকটি বাধা ভেঙে বিধানসভার দিকে সরকারি কর্মচারীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের আটকে দেওয়া হয়। অনেকে বিধানসভা গেটের কাছে পৌঁছে গেলে তাদের চ্যাংদোলা করে তুলে গাড়িতে ঢোকায় পুলিস। মহিলা পুলিসদের বাগে আনতে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিস। তারাও মহিলাদের টানা হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলেন।
এদিন বিধানসভার ২ নম্বর গেটের কাছে চলে আসেন বেশকিছু সরকারি কর্মচারী। সেখানে দাঁড়িয়েই তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিশাল পুলিস বাহিনী এসে তাদের আটক করে নিয়ে য়ায়। এখন বিধানসভায় অধিবেশন চলছে। সাধারণভাবে বিধানসভায় অধিবেশন চললে ওই গেটে কখনওই বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয় না। ফলে পুলিস রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীদের তুলে লালবাজারে নিয়ে যায়।