Buddhadeb Bhattacharjee: আজ ছুটি বুদ্ধবাবুর, হাসপাতালে পৌঁছলেন মীরা ভট্টাচার্য
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসদের তত্ত্বাবধানে ১১ দিন হাসপাতালে থাকার পর বাড়ি ফিরছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাড়ি ফেরার পর রাতে আবার বাইপ্যাপে থাকবেন তিনি। পরানো থাকবে রাইলস টিউবও। ২৪ ঘণ্টা দেখভালের জন্য দুজন নার্স থাকবেন বাড়িতে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আজ বাড়ি ফিরছেন বুদ্ধদেব। বাড়িতেই বেসরকারি হাসপাতালের হোম কেয়ারে রাখা হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন এমনটাই জানাল আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল। আপাতত কড়া নজরদারিতেই রাখতে হবে তাঁকে। বাড়ি থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। হাসপাতাল থেকে বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরছেন তিনি।
আরও পড়ুন, Maa Flyover Repair: মিলল ট্রাফিক পুলিসের ছাড়পত্র, বন্ধ মা উড়ালপুলে যান চলাচল; কিন্তু কেন?
বাড়ি ফেরার পর রাতে আবার বাইপ্যাপে থাকবেন তিনি। পরানো থাকবে রাইলস টিউবও। ২৪ ঘণ্টা দেখভালের জন্য দুজন নার্স থাকবেন বাড়িতে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসদের তত্ত্বাবধানে ১১ দিন হাসপাতালে থাকার পর বাড়ি ফিরছেন তিনি। আগামী ১ মাস হোম কেয়ার সাপোর্টে থাকবেন বুদ্ধদেব বাবু। অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়েই অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় তাঁকে। গত পাঁচবছর ধরে ডা. কৌশিক বসু বুদ্ধদবকে দেখছেন। এদিন তাঁকে দেখা গেল অ্যাম্বুলেন্সের সামনে, ছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা.সপ্তর্ষি বসুও।
ক্রিটিক্যাল কেয়ারের অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি ফিরছেন তিনি। এই নিয়ে চারবার হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফুসফুসে সংক্রমণ এখন নেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। খুব ভালো আছেন তিনি। এদিন মীরা ভট্টাচার্য বলেন, 'জনসাধারণ এতদিন উৎকন্ঠায় ছিলেন এতদিন। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। প্রার্থনা করুন উনি যেন আগামীতেও সুস্থ থাকতে পারেন।' বাড়িতে ফেরার কথা শুনে আনন্দিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে বুদ্ধদেবের বাইপ্যাপ লাগবে না। আপাতত হাসপাতালে ইন্টারমিটেন বাইপ্যাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। বাড়িতেও তাই করা হবে। শুধু রাতে এক টানা বাইপ্যাপ থাকবে। সোয়ালো থেরাপিস্ট যাবেন বাড়িতে, যাতে ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া শুরু করতে পারেন তিনি। হবে ফিজিওথেরাপিও। গত ২৯ জুলাই ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সংকটজনক অবস্থায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিৎসায় দ্রুত সারা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, Fire at Rabindra Sadan: সাতসকালে মহানগরে আগুন, ভস্মীভূত পূর্বরেলের রিজার্ভেশন কাউন্টার